নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার রাজ্য জুড়ে ডিআই অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠল পরিস্থিতি। কলকাতার কসবা ডিআই অফিস ঘিরেই তৈরি হল সবচেয়ে বড় উত্তেজনা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে যখন মিছিল এগোচ্ছিল, তখন শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আর তারপরেই অভিযোগ ওঠে, পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ চালিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের উপর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশের লাঠির ঘায়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন একাধিক বিক্ষোভকারী। অনেকেই গুরুতর আহত হন— কারও পায়ে, কারও পিঠে গভীর ক্ষত। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ছবি।
চাকরিহারাদের কষ্টের আক্ষেপ, “আজ আমাদের স্কুলে থাকার কথা, হাতে পেন থাকার কথা। কিন্তু আজ রাস্তায় পুলিশের লাঠির ঘা খাচ্ছি!”
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে, তখন মুখ খুললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। সিপি-র দাবি, “পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। চার জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন দুই মহিলা পুলিশকর্মীও। সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে রয়েছে।”
লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে সিপি জানান, “পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।”
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/09/AeufOTD3vH8iD3mH37f6.jpg)
তবে সিপি-র এই বক্তব্য মানতে নারাজ চাকরিহারারা। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “এসি রুমে বসে অনেক কিছু বলা যায়। ওরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। প্রি-প্ল্যানড মারধর। আমরা পৌঁছনোর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল লাঠিপেটা। এমনভাবে মারল, যে লাঠিও ভেঙে গেল। তারপরও থামেনি, চলতেই থাকল লাথি, চড়, ঘুষি।”
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। পুলিশের ভূমিকা ঘিরে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এখন দেখার, এ ঘটনায় প্রশাসনের তরফে আদৌ কোনও তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না।