শিশুদের হত্যা না করার আবেদন কানাডার, প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপের নারী ও মহিলাদের যেন হত্যা করা না হয়। অনেক শিশু অনাথ হয়ে পড়ছে। এই হত্যালীলা বন্ধ করা দরকার।

New Update
gaja edit.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:   কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো ইজরায়েলের কাছে আবেদন করেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেন গাজা স্ট্রিপের শিশুদের হত্যা করা না হয়। ত্রুদোর এই মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো বলেন, লড়াইটা হামাসের বিরুদ্ধে। যে কোনও মূল্যে ইজরায়েলকে গাজা স্ট্রিপের মহিলা ও শিশুদের হত্যা বন্ধ করতে হবে। ত্রুদোর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, গাজা স্ট্রিপে মহিলা ও শিশুদের হত্যার জন্য দায়ী হামাস। কারণ হামাস প্রথম ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায়। 

মঙ্গলবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো বলেন, 'পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের লড়াই চলছে। আমি ইজরায়েল সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের লড়াইয়ে সারা বিশ্ব দেখছে কীভাবে শিশুরা তাদের পরিবার হারিয়ে অনাথ হয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও সন্তান হারা বাবা-মায়ের শোক দেখতে পাচ্ছি।' ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা প্রতিদিন মহিলা ও শিশুদের হত্যা প্রত্যক্ষ করছি। যে কোনও মূল্যে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে।  জাস্টিন ত্রুদোর মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, 'ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপের কোনও সাধারণ নাগরিককে লক্ষ্য করে হামলা চালায়নি। এই কাজটা হামাস করেছে। হামাস ইহুদিদের  মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।  হামাসের বর্বরতাকে ধ্বংস করতে গেলে ইজরায়েলকে সমর্থন করতে হবে।'

 

 

অন্যদিকে, বুধবার ইজরায়েলের সেনারা গাজা স্ট্রিপের আল শিফা হাসপাতালের বাইরে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় হাসপাতালের হাজার হাজার রোগী কার্যত বন্দি হয়ে ছিলেন। তবে আল শিফা হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, অভিযানের সময় হাসপাতালের রোগীরা অত্যন্ত আতঙ্কে ছিলেন। তবে অভিযানে আল শিফা হাসপাতালের কোনও রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জানা গিয়েছে, যখন সময় আল শিফা হাসপাতালের বাইরে ইজরায়েলের সেনারা অভিযান চালায়, তখন ভিতরে বেশ কিছু সদ্যোজাত শিশু কার্যত আটকে পড়েছিল। সময়ের আগে শিশুগুলোর জন্ম হওয়ার কারণে তাদের হাসপাতালের বিশেষ যত্নে রাখা হয়েছিল। তাদের ইজরায়েলি সেনার অভিযানের আগে কোনওভাবে স্থানান্তরিত করা যায়নি। একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হাসপাতালের বাইরে ইজরায়েলি সেনাদের অভিযানের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, ইজরায়েলের এই সিদ্ধান্তকে যেন যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখা হয়।