পঞ্চায়েতের দুর্নীতি রুখলো গ্রামবাসীরা

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কিনা পঞ্চায়েতের দুর্নীতি ধরে ফেললো গ্রামবাসী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে লাউদোহায়।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
12

নিজস্ব সংবাদদাতা, লাউদোহা :  আনুমানিক মাস ছয়েক হল নির্মাণ হয়েছে ঢালাই রাস্তা। আবার সেই রাস্তার উপর রাস্তা তৈরি করতে উদ্যোগী প্রশাসন। গ্রামবাসীদের বাধায় বন্ধ হল কাজ। ঘটনাটি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা পঞ্চায়েতের তিলাবনী গ্রামের।

তিলাবনী গ্রামের বাসিন্দা শেখ বসির আহমেদ ও শেখ সাদেকরা জানান, ''গ্রামের বেশ কয়েকটা জায়গায় ঢালাই রাস্তা তৈরি হলেও অধিকাংশ গ্রামের ভেতরের অংশে রাস্তা তৈরি হয়নি । যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পাড়ার লোকেরা চরম সমস্যায় পড়েন।''

 শেখ বশির আহমেদ জানান, ''তিলাবনী গ্রামের ফুটবল মাঠ থেকে প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার ঢালাই রাস্তা মাসখানেক আগেই তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে আবার পঞ্চায়েত প্রশাসন সেই রাস্তা তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করছিলেন। গ্রামের মানুষরা সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেয়।'' প্রশ্ন ওঠে যে রাস্তা সুন্দরভাবে তৈরি হয়ে আছে, সেখানে আবার কেন নতুন করে রাস্তা? গ্রামের মানুষদের দাবি গ্রামের যে সকল জায়গাগুলিতে রাস্তার প্রয়োজন পঞ্চায়েত প্রশাসন আগে সেই রাস্তাগুলো করুক। যেমন তিলাবনী গ্রামের  কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের মাজার। মাজার থেকে মাঠ পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন কাঁচা অবস্থায় পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই কাদায় ভরে যায় রাস্তা। অথচ এই রাস্তা দিয়েই গ্রামের অধিকাংশ চাষী ট্রাক্টর ও গরুর গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে সেই সময় চরম সমস্যায় পড়েন ওই এলাকার মানুষজন  বলে গ্রামবাসীদের দাবি । গ্রামবাসীরা এও জানান, তেলাপোনি গ্রামের প্রধান সড়ক থেকে গ্রামের শ্মশান যাওয়ার রাস্তা বেহাল। পঞ্চায়েত প্রশাসনের নজর নেই সেদিকে। তাই নতুন করে রাস্তা তৈরি করতে আসা মজদুর ঠিকাদাররা গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখীন হয়ে  সেই মুহূর্তে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, গ্রামের প্রয়োজনীয় রাস্তা গুলি দিকে নজর দিক প্রশাসন।

তিলাবনী গ্রামের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সৌগত মন্ডল জানান, ''রাস্তা তৈরি করতে আসা ঠিকাদার ও মজদুররা ভুলবশত নির্দিষ্ট জায়গার বদলে অন্য জায়গায় কাজ শুরু করছিল। যদিও খবর পাওয়ার মাত্র এই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই কাজ । কিছুদিন আগে তৈরি হওয়ার রাস্তার ওপর আবার রাস্তা তৈরি হচ্ছে শুনেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই কাজ।''যদিও গ্রামের মানুষদের একাংশ বলছেন, রাস্তা তৈরি করতে আসা ঠিকাদাররা ও শাসক দলের একাংশের যোগ সাজো সেই হচ্ছিল রাস্তা তৈরীর কাজ। গ্রামের মানুষদের বাধায় বেকায়দায় পড়ে অনৈতিক ভাবে তৈরি হওয়া রাস্তার কাজ বন্ধ করলো শাসক দল । অঞ্চল সভাপতি বলেন, ইচ্ছাকৃত কোন কিছুই হয়নি ঠিকাদারের ভুলবশতই এই ঘটনা ঘটেছে যা শুধরে নেওয়া হয়েছে । গ্রামের যে জায়গাগুলিতে ঢালাই রাস্তা প্রয়োজন সেগুলিতেই হবে ঢালাই রাস্তার কাজ। বর্তমানে ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে সে কারণেই নির্বাচনী বিধি মেনেই রাস্তার কাজ রয়েছে বন্ধ । পঞ্চায়েত ভোটের পর শুরু হবে গ্রামের প্রয়োজনীয় ঢালাই রাস্তা গুলি তৈরির কাজ।