/anm-bengali/media/media_files/2025/05/12/dtrt9jLF5yw2Sf9TAFgk.jpeg)
হরি ঘোষ, কাঁকসা: দাবদাহে ভরসা কাঁঠাল গাছতলার মাচা। এমনই চিত্র কাঁকসার জঙ্গলমহলের আদিবাসী পাড়ায়। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই কখনও ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে কখনও আবার ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই তাপমাত্রা। সকাল ৮টা পেরোলেই মনে হচ্ছে দুপুর গড়িয়েছে। নাজেহাল অবস্থা আম জনতার। বেশিরভাগ জায়গাতে দেখা যাচ্ছে দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে এসির ভেতর আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ। তবে কাঁকসার জঙ্গলমহলের বিদবিহারের আদিবাসী গ্রামগুলিতে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র।
কাঁঠালডাঙা নামের একটি প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকায় বেশিরভাগ বাড়ি টিনের আর টালির ছাউনি দেওয়া। তাই সূর্যের তেজ বাড়লে বাড়িতে থাকা আতঙ্কের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই তাঁরা গরমের হাত থেকে বাঁচতে গাছের তলায় মাচা তৈরি করেছেন। রোদ বাড়লেই সেই গাছ তলায় মাচাতে আশ্রয় নিচ্ছেন। সেখানেই চলছে খাওয়া-দাওয়া। এখানেই জিরিয়ে নিতেও দেখা যাচ্ছে। মনি কিস্কু নামের এক আদিবাসী মহিলা বলেন, "এত গরম থাকা যাচ্ছে না। বাড়িতে একটাই ফ্যান। সেই জন্যই আমরা গাছ তলার মাচাতেই দিন কাটাই। ১০০ দিনের কাজও নেই তাই খুব কষ্ট করেই দিন পেরোয়। পর্যাপ্ত পানীয় জলও নেই। সেই জন্য আমাদের সমস্যা তো হচ্ছেই। নিজেদের শরীরকে এবং বাচ্চাদের গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে কাঁঠাল গাছের তলাতেই আশ্রয় নিচ্ছি। সেই মাচাতে বসে শরীরকে সুস্থ রাখতে দুপুরে আলু শাকের তরকারি আর ঠান্ডা ভাতের সাথে ছোট মাছের টক খাচ্ছি। বিকেল ৫টার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমলে আমরা বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছি"।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/12/ovajOuCxJiKivkY5LY9j.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us