/anm-bengali/media/media_files/2025/07/29/operation-maahadev-2025-07-29-08-27-11.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার, শিবের বারেই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ চূড়ান্ত সাফল্য আসে ভারতের। পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী লস্কর-এ-তৈবার জঙ্গি সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা সহ তিন হাই ভ্যালু টেরোরিস্টকে খতম করল ভারতীয় সেনা, চিনার কর্পস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। সেনার তৎপরতায় আতঙ্কে কেঁপে উঠল ডাচিগাম সংলগ্ন হারওয়ানের গভীর জঙ্গল।
গত ১১ জুলাই সেনা ইন্টেলিজেন্স একটি চিনা ডিভাইস ইন্টারসেপ্ট করে জঙ্গিদের উপস্থিতির হদিস পায়। তার ভিত্তিতেই সোমবার সকাল ১১টা থেকে শ্রীনগরের মহাদেব শৃঙ্গ এলাকার জঙ্গলে শুরু হয় 'অপারেশন মহাদেব'। এই নামকরণ সেনার ভারতীয় আবেগকে সম্মান জানানো বলেই প্রতিরক্ষা মহলের ধারণা।
জানা গিয়েছে, হাসিম মুসা ছিল পাকিস্তান সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্যারা কমান্ডো। আত্মগোপন ও কোভার্ট অপারেশনে সিদ্ধহস্ত মুসারা শ্রীনগরের জাবারওয়ান পর্বতের ঘন জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে লুকিয়ে ছিল।
প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, অভিযানে সবকটি জঙ্গিকে হেডশট করে খতম করা হয়েছে। সেনার স্পেশ্যাল ফোর্স ফোর্থ প্যারা এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ অভিযানে এই সাফল্য এসেছে। বিশেষ ছোরা ‘খঞ্জর’ ও আধুনিক স্নাইপারের মাধ্যমে সেনা জঙ্গিদের নিখুঁতভাবে নিশানা করে। পাঁচজন জঙ্গিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে সেনা, যারা অমরনাথ যাত্রার পুণ্যার্থীদের উপর হামলার ছক কষছিল বলে সন্দেহ।
যে অপারেশন বৈসরণ ভ্যালিতে হামলার প্রতিশোধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম পেয়েছিল, ঠিক তেমনই এবার শিবভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরু হল ‘অপারেশন মহাদেব’। প্রতিরক্ষা মহলের মতে, এই নাম শুধু এক কৌশলগত সিদ্ধান্ত নয়, দেশের ধর্মীয় আবেগের প্রতীকও। চিনার কর্পস সূত্রে খবর, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল। সেনা সূত্রের দাবি, জম্মু, কিস্তওয়ার ও কোকেরনাগের জঙ্গলে এখনও ৭০-৮০ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই সেনা অভিযান যে এখনও চলবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন মহাদেব’ কেবল একটি এনকাউন্টার নয়, বরং ভারতের হাতে জঙ্গিদের প্রতি ন্যায়বিচার। এককথায় যাকে বলা হয়, “Justice served by India”।