উঠে যাবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক? বিরাট সিদ্ধান্ত মমতা সরকারের

কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি নয়, এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজের শিক্ষানীতি তৈরি করতে চাইছে। আর সেই শিক্ষানীতিতে বোর্ড পরীক্ষার অস্তিত্ব থাকবে কিনা সে নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে এবং আলোচনা চলছে।

New Update
mamata chet.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: উচ্চশিক্ষার আদলে এবার স্কুল স্তরেও সেমিস্টার সিস্টেম চালু হচ্ছে? সম্প্রতি এমনই ভাবনা-চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। এবার বাংলায় নয়া শিক্ষানীতি আনতে চাইছে নবান্ন। প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ-দ্বাদশে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করার প্রস্তাব দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না হলেও এখন স্কুল স্তরে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করতে চায় সরকার। 

কেন্দ্র সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি অক্ষরে অক্ষরে মানতে নারাজ রাজ্য শিক্ষা দফতর। এবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পৃথকভাবে রাজ্য শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করে ফেলেছে নবান্ন। সেই প্রস্তাবিত খসড়ায় একাধিক বিষয়ের পাশাপাশি এবার থেকে অষ্টম শ্রেণি থেকেই সেমিস্টার চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে যে কমিটির সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে যে সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে রাজ্য শিক্ষা কাঠামোয় আমূল পরিবর্তনের নীতি স্থির করা হয়েছে। এবার তিন বছর সময় নিয়ে ধাপে ধাপে স্কুল স্তরেও সেমিস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন শুরু করতে চাইছে রাজ্য। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমসিকিইউ প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে রাজ্য। এবার জানা গেল যে বৈঠকে স্থির হয়েছে, উচ্চশিক্ষায় কলেজের সেমিস্টার সিস্টেমে যেমন ছয় মাস অন্তর দুটি পরীক্ষা নেওয়া হয়, স্কুলের ক্ষেত্রেও তেমন করতে হবে। অর্থাত্‍ বার্ষিক পরীক্ষার বদলে বছরে দুটি করে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে খবর। এবার রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বোর্ডের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

কলেজের ন্যায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার সিস্টেমে পড়াশোনা চালু হলে সেক্ষেত্রে বোর্ড পরীক্ষার অস্তিত্ব থাকবে কিনা সেই নিয়ে শিক্ষা মহলের একাংশে চৰ্চা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বার্ষিক পরীক্ষার বদলে বছরে দুটি পরীক্ষা হলে বোর্ড পরীক্ষার কোনও গুরুত্ব থাকবে না। এই সেমিস্টার সিস্টেমের কারণে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উঠে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে রাজ্য সরকার।