বিহারের ঐতিহ্য ‘গীত গাওয়াই’-কেই কেন বেছে নেওয়া হল মোদীর মরিশাস সফরে?

প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০টিরও বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তাঁর এই সফরসূচিতে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
445fe3

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার মরিশাসে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঐতিহ্যবাহী বিহারী অভ্যর্থনা জানানো হয়। পোর্ট লুইসে তাঁকে স্বাগত জানাতে গীত গাওয়াই শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দিনের সরকারি সফরে মরিশাসে রয়েছেন, যেখানে তিনি জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন এবং সেখানকার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

গীত গাওয়াই ভোজপুরি সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্যবাহী সংগীতরূপ, যা মূলত বিহার, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডের মহিলারা পরিবেশন করে থাকেন। এটি ১৮৩৪ সালে শুরু হওয়া গিরমিটিয়া চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনের সময় ভারত থেকে মরিশাসে আসা অভিবাসীদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করে। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো গীত গাওয়াই-কে মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই গানগুলো পারিবারিক বন্ধন, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং সমাজের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। সেই জন্যেই এক টুকরো বিহারকে তুলে ধরার জন্যে মদীর কাছে পরিবেশন করা হয় এই গীত গাওয়াই। 

rerve4

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০টিরও বেশি ভরতের আর্থিক সাহায্যে তৈরি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণের বিভিন্ন উদ্যোগ।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর মরিশাস সফর দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। এছাড়াও, সাংস্কৃতিক বন্ধন হিসেবে গীত গাওয়াই-এর মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সংরক্ষণ দুই দেশের সংযোগ আরও গভীর করবে। তবে এখানে বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলছেন, যেহেতু এই বছর শেষে বিহারে নির্বাচন, এবং বিহারের রাজনীতি এখন একটা বড় প্রেক্ষাপট মোদীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, তাই সেই সকল সমীকরণ মাথায় রেখে গীত গাওয়াই পরিবেশন করা হয়েছে। আসলে এখানেও পরোক্ষ ভাবে ভূমিকা পালন করছে বিহার এবং সেখানকার পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি।