/anm-bengali/media/media_files/ig2H9t1xbceaaowWeF0G.jpg)
ফাইল ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের টিকিট নিয়ে তৃণমূল বনাম তৃণমূল। আর ঘটনাস্থল সেই বহু চর্চিত নন্দীগ্রাম। চাপের মুখে শেষমেশ শেখ সুফিয়ানের জেলা পরিষদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আরও এক বেনজির ঘটনা।
শেখ সুফিয়ানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে গোল বাঁধছিল। ধিকিধিকি আগুন জ্বলছিলই। আর তা প্রকাশ্যে আসে বুধবারই। শেখ সুফিয়ানকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করায়, পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। আবার সুফিয়ানের সমর্থনেও বিক্ষোভ দেখান আরও এক দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতি স্বভাবতই চাপ বাড়িয়েছে শাসক দলের। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করা হল শেখ সুফিয়ানের।
জেলা পরিষদের বিদায়ী সহ-সভাধিপতির বদলে জোড়াফুল প্রতীকে প্রার্থী করা হয়েছে স্থানীয় নেতা সামসুল ইসলামকে। বৃহস্পতিবার দুপরে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।
প্রার্থী বদলের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুফিয়ানকে ‘বুঝিয়ে’ নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা না-দেওয়ার জন্যও রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা পুর্ব মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর কুনাল ঘোষ রাজি করিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তাঁর অনুমোদনেই বিকল্প প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন ঙ্কুনাল। আর বৃহস্পতিবার সেই প্রার্থীই দিলেন মনোনয়ন।
টিকিট না পেলে মনোনয়ন পেশ করবেন না, বলে একসময় জেদ ধরে রেখেছিলেন শেখ সুফিয়ান। এমনকি ‘নির্দল’ হিসেবে লড়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য মান ভাঙান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর তাতেই কাজ হয়।
বৃহস্পতিবার সেই সুফিয়ানই বলেন, “আমি তৃণমূলের এক জন সৈনিক। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি। টিকিট না পেলেও দলের হয়ে কাজ করে যাব”। অতএব সুফিয়ানকে ঘিরে চলা সংঘর্ষ যে এবার শান্ত হবে তা মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা।