/anm-bengali/media/media_files/2025/06/30/screenshot-2025-06-30-am-2025-06-30-11-51-37.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি: সূর্যের আলো ফুটলেই দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ টি ওয়ার্ডের বর্জ্যবাহী গাড়ির আনাগোনা শুরু হয়। দুর্গাপুর ফরিদপুরের জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর মোড় হয়ে এই গাড়িগুলি চলে যায় শংকরপুরের শেষে। সেখানেই রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের বর্জ্য পদার্থ প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন কেন্দ্র। কিন্তু দিনের পর দিন বর্জ্য জমা হতে হতে পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখানে কাক, কুকুর সহ বিষাক্ত জীবজন্তুর উপদ্রব বাড়ছে। কিছুটা দূরেই রয়েছে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, রয়েছে অঞ্চলিক ফরেন্সিক বিভাগ। আর দমকা হাওয়া দিলে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে দুর্গন্ধ। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা জেমুয়া, মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ। শুভজিৎ রায় নামের এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "এত দুর্গন্ধ, এত দুর্গন্ধ যে থাকতে পারছি না। নোংরা বোঝাই গাড়ি আমাদের এলাকার পাশ হয়ে যায়। তখন যা গন্ধ ওঠে অনেকে বমি করে ফেলে। আর ওই জমা নোংরা পাহাড়ের গন্ধ ছড়ায় হালকা হাওয়া দিলে আর হালকা বৃষ্টি হলেই। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সমস্যা হয়, বহুতল আবাসনের আবাসিকদেরও চরম সমস্যা হয়। আর আমরাও টিকতে পারি না। আমরা চাই এই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র সরিয়ে ফেলা হোক।" এদিকে সমালোচনায় সরব হয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, "সরকার টাই দুর্গন্ধে ভরে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন হয়নি। সাধারণ মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীরা কি করছে? এই সরকার স্বৈরাচারী, এই সরকার কাটমানি খায়, এই সরকার উদাসীন। সেই জন্যই এই অবস্থা।" যদিও প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি বলেন, "দুর্গন্ধ ছড়ায় সেটা সত্যি কথা। এলাকার মানুষের সমস্যা হয় সেটাও আমরা জানি। তবে নগর উন্নয়ন দপ্তরের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন শুরু হবে। দেড় থেকে দু বছরের মধ্যে এই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে। তারই মধ্যে এলাকা গন্ধ মুক্ত হবে।"
/anm-bengali/media/post_attachments/cf485c8b-251.png)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us