/anm-bengali/media/media_files/2025/09/12/whatsapp-ima-2025-09-12-15-11-02.jpeg)
নিজস্ব সংবাদাতা: দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে আয়োজন করা হয়েছিল "বিকশিত ভারত ও আত্মনির্ভর ভারত" বিষয়ক এক আলোচনা সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার। তিনি ছাত্রদের কাছে জানতে চান, আত্মনির্ভর ও বিকশিত ভারত গড়তে তাদের কী মতামত। কিন্তু সেই সভা মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এক পড়ুয়া সরাসরি প্রশ্ন করেন—“ভারতের নাগরিকরা কোথায় পাচ্ছেন মৌলিক অধিকার? রাজস্থানে ছাদ ভেঙে সাত পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটল, তার জবাব কে দেবে?” আরেকজন প্রশ্ন তোলেন জাতিগত সংরক্ষণ নিয়ে। এই প্রশ্ন শুনেই যেন চটে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, তিনি প্রশ্ন নয়, সমাধান জানতে চাইছিলেন। কিন্তু দুই পড়ুয়া কার্যত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/mihf0zzaR3JC17equGsQ.jpg)
প্রশ্নকারী পড়ুয়া আয়ুষ বেনুয়া পরে বলেন, “আমি মৌলিক অধিকার হরণের কথা তুলেছিলাম। রাজস্থানের শিক্ষা ব্যবস্থার ভাঙনের প্রসঙ্গও বলেছিলাম। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী কোনও উত্তর দেননি। উল্টে রেগে গিয়ে ডাইরেক্টর স্যার আমার কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেন।”
পাল্টা সুকান্ত মজুমদার জানান, “আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম—তোমার মৌলিক অধিকার কোথায় খনন করা হয়েছে? সে তো উত্তরই দিতে পারল না। হয়তো কাউকে দিয়ে বানিয়ে পাঠানো হয়েছিল। জাতি সংরক্ষণের বিষয় সাংবিধানিক ব্যাপার। কেউ মাইক হাতে লাগাতার কিছু বললেই পুলিশ ধরবে।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র তরজা শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, “মন্ত্রী বলছেন রাজনৈতিক দল পাঠিয়েছে। অথচ প্রশ্নকারী পড়ুয়া তো বিজেপি শাসিত রাজ্যের। আসলে মানুষ সঠিক অধিকার পাচ্ছে না বলেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন উনি, মানুষের কথা না শুনলে পদও হারাতে হবে।”
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us