টমেটো–আলু কিনতে রাজ্যপাল নিজে! দুর্গাপুরে চা খেতে গিয়ে মানুষের মন জয় করলেন

শুক্রবার দুর্গাপুরের সবজি বাজারে আচমকা হাজির রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
WhatsApp Image 2025-08-01 at 2.42.48 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার সকালটা রাজ্যপাল সি. ভি. আনন্দ বোস কাটালেন একেবারে সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সংবর্ধনার জন্য যখন তিনি পৌঁছান পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে, তখনই কেউ ভাবেনি এরপর এমন চমক অপেক্ষা করছে। রাষ্ট্রপতি ঝাড়খণ্ডের সমাবর্তনে আকাশপথে রওনা হতেই রাজ্যপাল হঠাৎই সড়কপথে রওনা দিলেন দুর্গাপুরের বেনাচিতির সবজি বাজার পরিদর্শনে।

বাজারে প্রবেশ করেই তিনি একের পর এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন, জানেন ফল ও সবজির দাম, খোঁজ নেন স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে। এই সময় এক মাছ ব্যবসায়ী, পল্টু ধীবর, আচমকাই রাজ্যপালের গলায় রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে দেন। এমন অভ্যর্থনায় রাজ্যপাল খুশি হয়ে ওঠেন।

এরপর তিনি দোকান থেকে নিজেই কেনাকাটা করেন—টমেটো, বরবটি, আলু, পেঁয়াজ নেন ব্যাগে। বাজার ঘুরে ঢোকেন ঘোষ মার্কেটেও। এমনকি এক দোকানে বসে এক কাপ চা-ও খান, সাধারণ মানুষের মতোই।

cv ananda bose.jpg

বাজার পরিদর্শনের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, রাজভবনে বসে শুধু নথি পড়ে বা দপ্তরের রিপোর্ট দেখে রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। তাই তিনি নিজের চোখে দেখে, মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বাস্তব অবস্থাটা বুঝতে চান।

তিনি বলেন, “আমি এখানে এসেছি মানুষের জীবনযাত্রা, অনুভূতি, ভাবনা সরাসরি জানতে। আজকের এই অভিজ্ঞতা আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছে, যা রাজভবনকে সত্যিকারের ‘জন রাজভবন’ করে তুলতে সাহায্য করবে।”

রাজ্যপালের এই আচমকা সফরে অবাক বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কেউ কেউ বলেন, “এই প্রথম কোনও রাজ্যপাল আমাদের বাজারে এসে এভাবে কথা বললেন। এটা ভাবতেই পারিনি।”

নিজেও অত্যন্ত সন্তুষ্ট রাজ্যপাল। হাসিমুখে তিনি বলেন, “আজকের বাজার দর্শন আমার কাছে শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা। ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম।”