/anm-bengali/media/media_files/2025/06/13/UNJOM7mVqOIW1xs6WfN3.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা:পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাসের পাড়ার বাসিন্দারা চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। পানাগড় রেল পাড় সংলগ্ন জল ট্যাংকি এলাকার ছবিটা এখন নোংরা, দুর্গন্ধে ভরা, আর মশা-মাছির দখলে। এলাকায় পচা আবর্জনা, ভাঙা নিকাশি ব্যবস্থা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাসিন্দারা কার্যত নরকযন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন।
কাঁকসা পঞ্চায়েতের তরফে কিছুদিন আগে একটি নীল রঙের ডাস্টবিন বসানো হয়েছিল, যার গায়ে লেখা রয়েছে নানা সচেতনতার বার্তা — “পরিবেশ বাঁচান”, “দূষণ রুখুন” ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে সেই ডাস্টবিন নিয়মিত সাফ হয় না, ফলে আবর্জনা উপচে পড়ে যাচ্ছে। এমনকি রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এই আবর্জনার স্তূপ টেনে টানছে ছাগল, রাস্তার সারমেয়রাও। পাশের ফাঁকা মাঠে জমে উঠেছে আরও নোংরা আবর্জনা, ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ।
এই দুরবস্থার মূল কারণ, এলাকার ভেঙে পড়া নিকাশি ব্যবস্থা। পরিকল্পনাহীনভাবে তৈরি ড্রেনগুলো থেকে নোংরা জল রাস্তায় উঠে আসছে। বর্ষাকালে সেই জল বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। এখন বর্ষা আসন্ন, তাই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দ্বিগুণ।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, এই চিত্র জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাসের নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরের। অথচ তিনিও এ বিষয়ে কার্যত নীরব। বরং তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই দায় চাপিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের সময় সব রাজনৈতিক দল আসে, প্রতিশ্রুতিও দেয়, কিন্তু ভোট মিটতেই কেউ আর মুখ দেখায় না। আজও মানুষ সেই নোংরা জল, দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ইতিমধ্যে দাবি তুলেছে, এমন অব্যবস্থার জন্য কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাসের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা। বিরোধীদের কটাক্ষ, “যদি জেলা পরিষদের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার পাড়ার এই অবস্থা হয়, তাহলে জেলার অন্য এলাকাগুলোর হাল কেমন, তা সহজেই অনুমান করা যায়।”
এখন প্রশ্ন উঠেছে—সমীর বিশ্বাস কি নিজে এই অবস্থাটা দেখেন না? নাকি ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ করে আছেন? এই প্রশ্নের জবাব দাবি করছে এলাকার মানুষ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us