/anm-bengali/media/media_files/2025/07/18/whatsap-2025-07-18-14-13-30.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুর্গাপুর সফরের আগে উত্তেজনা ছড়াল গান্ধীমোড় এলাকায়। অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নেহরু স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে যে রাস্তা দিয়ে মোদির কনভয় যাবে, সেই পথের ধারেই হঠাৎ দেখা যায় একটি বিতর্কিত হোর্ডিং। তাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে—“দুর্গাপুরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলি কবে খুলবে? মোদি তুমি জবাব দাও!” তৃণমূলের তরফ থেকে এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে বলে জানা যায়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য নেতা পারিজাত গাঙ্গুলির নেতৃত্বে একদল বিজেপি কর্মী সরাসরি গান্ধীমোড়ে এসে পৌঁছয়। শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। পারিজাত গাঙ্গুলি সাফ জানিয়ে দেন, তিরিশ মিনিটের মধ্যে এই হোর্ডিং না খুললে, তাঁরাই তা ছিঁড়ে ফেলবেন। ক্রমেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি।
শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং প্রশাসনের তরফে লোক পাঠিয়ে বিতর্কিত হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়। তারপরেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/18/modi-poster-2025-07-18-14-13-14.jpg)
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে কয়লা ও বালি চোরেদের আশ্রয়ে থাকা তৃণমূল নেতারাই এই হোর্ডিং লাগিয়েছে। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, এই হোর্ডিং সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, দলের কোনো ভূমিকা নেই।
মোদির সফরের দিনই এমন বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা দুর্গাপুরে রাজনৈতিক সংঘাতের নতুন অধ্যায় সূচিত হল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us