/anm-bengali/media/media_files/2025/06/29/rape-w-2025-06-29-20-18-45.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্গাপুরে গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার এক মেডিকেল ছাত্রী। এই ঘটনার পরেই ভয় ও আতঙ্কে কাঁপছে পরিবারের সদস্যরা। মেয়ের শারীরিক অবস্থার পাশাপাশি তাঁর মানসিক ভাঙনও চরমে। ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, “আমার মেয়ে এখন হাঁটতেই পারছে না। সে বিছানায় শুয়ে আছে, কাঁদছে বারবার। আমি অত্যন্ত চিন্তিত। ও বাংলায় নিরাপদ নয়। এখানে ওকে মেরেও ফেলতে পারে কেউ! তাই আমরা ওকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ওড়িশায়। এখন আর কোনো বিশ্বাস নেই। বাংলায় মেয়েকে পড়তে দেব না। নিজের রাজ্যে ওকে ভর্তি করাব।”
নির্যাতিতা ২৩ বছর বয়সী দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রী। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছিলেন। শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরোলে কয়েকজন যুবক তাঁদের আক্রমণ করে। অভিযুক্তরা জোর করে ওই তরুণীকে একটি নির্জন জায়গায় টেনে নিয়ে যায় এবং তার পরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার বর্বরতা শুনে শিহরিত গোটা এলাকা। পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যেও।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/1000061382.jpg)
ঘটনার দিনই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাঁরা এখন বাংলার আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। পরিবারের বক্তব্য স্পষ্ট— “আমরা ওড়িশায় ফিরছি। ওখানে রাজ্য সরকার এবং প্রশাসন আমাদের সাহায্য করছে।”
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মঞ্জি ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও জানা গেছে। নির্যাতিতার বাবার কথায়, “ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রশাসন পাশে আছে। আমি অনুরোধ করেছি, আমার মেয়েকে ওড়িশারই কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হোক।”
এদিকে, দুর্গাপুরের এই নৃশংস ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে— অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বাংলার শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা কি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ল? রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতর।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us