নিজস্ব সংবাদদাতা: তিস্তা প্রকল্পে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারতের কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে চীন। পাশাপাশি, ‘গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ (জিডিআই)-এ বাংলাদেশ যোগ দেবে কি না, সেটিও ভারতের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস চীন সফরে যাচ্ছেন, যা নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
তবে এই সফর ঘিরে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, সফরকালে দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "এই সফরে কোনও চুক্তি হবে না, তবে কিছু সমঝোতা স্মারক (মউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।"
এদিকে, চীনের ‘গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, "এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ এতে যুক্ত হতে আপত্তি দেখাচ্ছে না, তবে আমরা এর অংশ হব কি না, তা সময়ই বলে দেবে।"
জানা গেছে, চীনের পাঠানো বিশেষ বিমানে করেই চারদিনের সরকারি সফরে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস। সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/PkauDtYNLdsvQYguKGkb.jpg)
এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, "বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার এই সফর হবে একটি মাইলফলক। আমরা আশা করছি, এটি ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হবে। দুই দেশ কীভাবে পারস্পরিকভাবে লাভবান হতে পারে, সে বিষয়েই আলোচনা হবে।"
এদিকে, সফরের আগে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব এম জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এই আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্প ও জিডিআই সংক্রান্ত চীনের ভূমিকা কী হবে, তা এই সফরের আলোচনার একটি মূল বিষয় হতে পারে।