নিজস্ব সংবাদদাতা: কর্মক্ষেত্রে 'ঘুমিয়ে পড়ায়' সাসপেন্ড হওয়া কনস্টেবলের পুনর্নিয়োগের নির্দেশ কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court)। কল্যাণ কর্নাটক রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ট্রান্সপোর্ট কনস্টেবল চন্দ্রশেখর। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় তিনি কর্মরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছেন। এক ভিডিও মারফত, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ভিডিও চিত্রের ফলে তাদের মর্যাদাহানি হয়েছে বলে অভিযোগ কর্পোরেশনের। সেই সূত্রে সাসপেন্ড হয়েছিলেন চন্দ্রশেখর।
২০১৬ সাল থেকে কোপ্পালে ওই কর্পোরেশনে কাজ করছেন চন্দ্রশেখর। টানা ৬০ দিন ধরে একদিনও ছুটি নিতে না দিয়ে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা করে তাঁকে ডিউটি করানো হচ্ছিল। যার ফলে কাজের ফাঁকে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন, জানান চন্দ্রশেখর।
প্রকৃত ঘটনা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অযৌক্তিক। আন্তর্জাতিক শ্রম আইন এবং ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক কর্মীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু ওই কর্মীকে অযৌক্তিকভাবে টানা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কোন কর্মীকে যদি আইনি সংস্থানের বাইরে গিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, সেখানে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। সেটাই স্বাভাবিক। কাজ ও শারীরিক সক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি, অভিমত বিচারপতি নাগপ্রসন্নর।
ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া আইন অনুযায়ী, প্রতিদিন কোনও কর্মীকে দিনে ৮ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ করানো যায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মান অনুযায়ী, কাজের সময় যুক্তিসম্মত ভাবে, ভারসাম্য বজায় রেখে নির্ধারিত হওয়া উচিত। অভিমতসহ ওই কনস্টেবলকে অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট।