বকেয়া বেতনের দাবি! বিক্ষোভ ঠিকা শ্রমিকদের

এলাকায় দূষণ ছড়ানোর জন্য কারখানা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা, আবার কখনো এলাকায় বেকার যুবকরা এই কারখানায় কাজ থেকে বঞ্চিত, বহিরাগতরা কাজ পাচ্ছে, এই দাবিতে কারখানায় বিক্ষোভ হয় ।

author-image
Pallabi Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
factory

ঠিকা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

হরি ঘোষ, লাউদোহা : বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁজড়া এলাকার "সুপার আইরন ফাউন্ডারি লিমিটেড" নামে একটি বেসরকারি সংস্থার নাম। নিত্যদিন এই কারখানায় লেগেই থাকে শ্রমিক বিক্ষোভ। কখনো এলাকায় দূষণ ছড়ানোর জন্য কারখানা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা, আবার কখনো এলাকায় বেকার যুবকরা এই কারখানায় কাজ থেকে বঞ্চিত, বহিরাগতরা কাজ পাচ্ছে, এই দাবিতে কারখানায় বিক্ষোভ হয় । শনিবার সকাল থেকেই কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালো সংশ্লিষ্ট কারখানারই প্রায় ৩০০ জন ঠিকা শ্রমিক ।

ঠিকা শ্রমিকরা বলেন,তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় কর্মরত। শ্রম আইন মোতাবেক ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘন্টা খাটতে হয় তাদের। অথচ কারখানায় কাজ করার জন্য নেই কোনওরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা । বিক্ষোভরত কারখানার ঠিকা শ্রমিক লালটু গড়াই ও বিমল লাহারা জানান, কারখানায় যে ধরনের কাজ হয়, তাতে থাকে জীবনের ঝুঁকি। অথচ নেই কোন সুরক্ষার সরঞ্জাম, কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করেনি সঠিক জুতো, নেই সুরক্ষা টুপি । এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পেট চালানোর জন্যই তাদের কাজ করা। অথচ  পাশবিক পরিশ্রম করার পর নির্দিষ্ট সময়ে মিলছে না বকেয়া পাওনা। ঠিকা শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, কখনো দুমাস কাজ করার পর মেলে এক মাসের বকেয়া।  শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার সময়ই সুযোগ বুঝে পালায় ঠিকাদার, এমনটাই অভিযোগ বিক্ষোভরত ঠিকা শ্রমিকদের ।  পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থলে আসে লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ।

যদিও এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সুদীপ্ত মজুমদার জানান, ঠিকাদার পালিয়েছে একথা সত্য। তবে শ্রমিকরা তাদের নায্য বকেয়া পাওনা অবশ্যই পাবেন । ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। তারপরই বিক্ষোভ তুলে নেয় ঠিকা শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঠিকা শ্রমিকদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করবেন, এই আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে ।অন্যদিকে,  বিক্ষোভরত ঠিকা শ্রমিক বিমল লাহা বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে তাদের সমস্যার সমাধান না হলে পুনঃরায় তারা কারখানার গেট বন্ধ করে আরো বড় আন্দোলনে নামবেন।