আজ থেকে ৪ দিন টানা বৃষ্টি! ‘কমলা’ সতর্কতায় একাধিক জেলা, আপনি কি প্রস্তুত?

আজ থেকে টানা চারদিন বাংলার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Rain


নিজস্ব সংবাদদাতা: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টি যেন জানান দিচ্ছে—বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এবার সত্যিই রূপ নিচ্ছে দুর্যোগে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করেছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, নিম্নচাপের প্রভাব এবার ভালোমতোই পড়বে রাজ্যে। বাস্তবে মিলেও গেল সেই পূর্বাভাস—আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, আর আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি আরও জটিল হতে চলেছে বলেই হুঁশিয়ারি আবহাওয়া দফতরের।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ। এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমশ এগোচ্ছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে। আবহাওয়াবিদদের মতে, দক্ষিণ চিন সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'উইফা' যখন ভিয়েতনাম, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড অতিক্রম করে, তখন তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং একটি ঘূর্ণাবর্তে রূপ নেয়। একই সময়ে বঙ্গোপসাগরে আগে থেকেই একটি নিম্নচাপ সক্রিয় ছিল। এই দুই সিস্টেম একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে নতুন বিপদের সম্ভাবনা—একটি প্রবল নিম্নচাপ, যার প্রভাব পড়ছে আজ থেকেই বাংলার আকাশে।

এই নিম্নচাপের জেরে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পরবর্তী তিন থেকে চারদিন ধরে চলবে একটানা বৃষ্টি। আজ উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্য জারি করা হয়েছে ‘কমলা’ সতর্কতা, যার মানে—অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায়। এর পাশাপাশি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক।

Rain

কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও আজ ও আগামী দিনে হতে পারে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত। আগামীকাল, অর্থাৎ শুক্রবার, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাগুলিতে দেখা দিতে পারে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই একটানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ভেসে গিয়েছিল। আবার যদি অতিবৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে পুনরায় প্লাবনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন ও আবহাওয়াবিদরা। এখন দেখার, কতটা মারাত্মক রূপ নেয় এই নিম্নচাপ—আর কতটা প্রস্তুত রাজ্য তার মোকাবিলায়।