রোদ কবে ফিরবে? হাওয়া অফিসের জরুরি বার্তা—উত্তরবঙ্গে বিপদ ঘনাচ্ছে!

টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী, কবে ফিরবে রোদের দেখা? হাওয়া অফিসে কী বলছে আবহাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী?

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Rain


নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে হাঁপিয়ে উঠেছে রাজ্যবাসী। রাস্তা জলমগ্ন, যানজট, জলকষ্ট—দুর্ভোগের শেষ নেই। রাজ্যের সর্বত্রই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—আবহাওয়া কবে করুণা করবে? কবে দেখা মিলবে সেই কাঙ্ক্ষিত রোদের?

হাওয়া অফিসের সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণবঙ্গ থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। বর্তমানে সেটি অবস্থান করছে উত্তর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। মৌসুমী অক্ষরেখা ইতিমধ্যেই খানিকটা উত্তরে সরে গিয়ে পুরুলিয়া ও কাঁথির উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরে আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা ও ব্যাপকতা কিছুটা কমবে বলেই আশা করছে আবহাওয়া দফতর।

তবে এখনই রোদে ঝলমলে আকাশের দেখা পাওয়ার আশা নেই। অন্তত কয়েকদিন বৃষ্টি চলতেই থাকবে দক্ষিণবঙ্গে, যদিও তার তীব্রতা কিছুটা কম হবে।

Rain

আজ, শুক্রবার, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ দক্ষিণবঙ্গে খানিকটা কমবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। হাওয়ার গতিও থাকবে একই রকম। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে বলে পূর্বাভাস।

কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে। আজ থেকেই উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির দাপট বাড়তে চলেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহার, মালদহ এবং দুই দিনাজপুর জেলাতেও।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ভারী বৃষ্টির জেরে নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীতে জল বাড়বে। ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় ধসের সম্ভাবনাও প্রবল।

সব মিলিয়ে, দক্ষিণবঙ্গে কিছুটা স্বস্তি মিললেও উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের কুয়াশা ঘনাচ্ছে।