/anm-bengali/media/media_files/2025/06/20/cover-21-2025-06-20-22-00-00.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের কুসুমদা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র ছাত্রীর টিউশন মাস্টার নন, তিনি একই সঙ্গে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সউদ খান।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। অভিযোগ, মেয়েটি নিয়মিতভাবে সউদ খানের কাছে টিউশন পড়তে যেত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই শিক্ষক তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর পরিবার যখন বিষয়টি জানতে পারে, তখনই তাঁরা প্রথমে স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের সাহায্য নেন। ওই ছাত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ায় আদিবাসী সমাজের তরফ থেকেও তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দেয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2024/11/20/Y8NORPSAAZeD2UotbjVm.jpg)
দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘিরে। স্থানীয় মানুষজন ও আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিরা সউদ খানের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি তোলেন। এরপরই বিকেলে ছাত্রীর পরিবার পিংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পিংলা থানার পুলিশ সউদ খানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তের দিদি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ভাই সম্পূর্ণ নির্দোষ। রাজনৈতিক কারণে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে। তবে তিনি এটাও বলেন, যদি তাঁর ভাই সত্যিই দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে শাস্তি হোক—তারা আইনের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখেন।
এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একদিকে একজন গ্রামপঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ, অন্যদিকে আদিবাসী কিশোরীর প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ—এই দুই বিষয়েই ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। বর্তমানে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us