মিরাক্যাল ঝাড়গ্রামের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে, সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে কীভাবে ফিরলেন রোগী

এক ব্যক্তির মুখের সামনে বিপজ্জনকভাবে থাকা একটি টিউমার সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা হল নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দীর্ঘ সাত বছর কোনও চিকিৎসা না করিয়ে টিউমারটিকে ফেলে রেখেছিলেন রোগী।

New Update
jhargram hospital .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্ৰাম ব্লকের  বাছুরখোয়াড় গ্রামের এক ব্যক্তির মুখের সামনে বিপজ্জনকভাবে থাকা একটি টিউমার সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা হল নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন ডক্টর কাঞ্চন পাঠক এবং ডেন্টাল ডক্টর সার্জন শান্তনু বাদসা প্রায় দেড় ঘন্টার জটিল অপারেশন করে টিউমার বের করেন। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের বাছুরখোয়াড় গ্রামের সুধীর মান্ডি বলে এক ব্যক্তির মুখের সামনে একটি বড় ধরনের টিউমার হয়েছিল দীর্ঘদিন আগে‌। প্রায় সাত বছর আগের সেই টিউমারের কোন চিকিৎসা না করিয়ে অসহায় ভাবে জীবনযাপন করছিলেন রোগী। এমন অবস্থায় ওই বাছুরখোয়ার গ্রামের ওল্ডেজ ক্যাম্পে চিকিৎসার জন্য সুধীর গেলে বিষয়টি নজরে আসে নয়াগ্রাম হাসপাতালের বি এম ও এইচ ডক্টর দেবাশিস মাহাতোর। তিনি ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের আসার পরামর্শ দেন। পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুধীর মান্ডিকে চিকিৎসার জন্য নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন হাসপাতাল সুপার ডক্টর দেবাশিস মাহাতোর পরামর্শ মতো হাসপাতালের ইএনটি সার্জেন ডক্টর কাঞ্চন পাঠক এবং ডেন্টাল সার্জেন ডক্টর শান্তনু বাদসা অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব নেন। সেই অনুযায়ী নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হয় অপারেশন। হাসপাতাল সূত্রে বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন সুধীর মান্ডি।