"বাঙালির গায়ে হাত দিলে হাত কেটে নেওয়া হবে!" — তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারিতে জ্বলছে রাজনীতি

বাঙালিদের গায়ে হাত দিলে ‘হাত কেটে নেওয়া হবে’ — বিতর্কিত মন্তব্যে তুঙ্গে উত্তেজনা, হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা, পাল্টা আক্রমণ বিজেপির

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
migrant worker a

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষায় এবার কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “যদি কেউ—চাই সে বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ হোক বা এই রাজ্যের বিজেপি নেতা-কর্মী—বাঙালিদের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তার হাত কেটে নেওয়া হবে।”

তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিকে দলীয় নেতার এই উগ্র ভাষায় বক্তব্যকে ঘিরে জোরালো প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে বিরোধীদের তরফে, অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠেছে, এমন হিংসাত্মক মন্তব্য কি রাজনৈতিক দায় এড়াতে পারবে তৃণমূল নেতৃত্ব?

বক্তব্যে আব্দুর রহিম আরও বলেন, “বাঙালি এখন চুপ করে থাকলেও সময় এলে জবাব দেবে। আমরা রাস্তায় নেমে বুঝিয়ে দেব, কে আসল বাঙালি আর কে ভাড়াটে বাহিনী।”

bjp tmc

এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই পাল্টা সুরে মাঠে নামে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “তৃণমূল বুঝে গেছে বাংলার মাটি আর ধরে রাখতে পারবে না, তাই এখন হিংসার রাজনীতি করছে। মানুষ এই ভাষা মেনে নেবে না।”

বিজেপির আরও অভিযোগ, এরাজ্যে বেকারত্ব, দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতির মতো ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন আগুনে ভাষা ব্যবহার করছে তৃণমূল নেতারা।

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনের মুখে রাজ্যের উত্তপ্ত আবহে এই ধরনের মন্তব্য আরও উসকানি দিতে পারে পরিস্থিতিকে। এখন দেখার, এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক অবস্থান নেওয়া হয় কি না।