চাকরি দেওয়ার নামে ফের দুর্নীতি, অভিযোগের তীর তৃণমূল নেতার ভাইয়ের দিকে

বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না বলে বলছেন। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
b455uw2

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: দৃষ্টিহীন মহিলার স্বামীর বেসরকারী কারখানায় কাজের জন্য টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল শ্রমিক নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বছর চার হয়ে গেলেও না মিলছে চাকরি, না পেয়েছেন টাকা ফেরত। উল্টে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছে দৃষ্টিহীন ঐ মহিলা ও তার স্বামী। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর। 

বাঁকুড়ার বড়জোড়া এলাকার বাসিন্দা দৃষ্টিহীন মহিলা মামনি রায়, বছর চার আগে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার এক বেসরকারি কারখানায় স্বামীর চাকরির জন্য গ্রামেরই এক যুবকের সূত্র ধরে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা কলোনিতে থাকা এক বেসরকারি কারখানার সদ্য গঠিত তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি শেখ রমজানের ভাই তৃণমূল নেতা শেখ গেন্ডাকে কথা মাফিক ১ লক্ষ টাকার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা দেন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দৃষ্টিহীন ঐ মহিলা। 

কথা হয়েছিল চাকরিতে যোগ দেওয়া মাত্রই বাকি টাকা তিনি ঐ তৃণমূল নেতার ভাইকে মিটিয়ে দেবেন। অভিযোগ, এরপর থেকে না মিলেছে চাকরি না পেয়েছেন টাকা ফেরত। সরকারের দেওয়া প্রতি মাসে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা জমিয়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ঐ দৃষ্টিহীন মহিলা। এখন টাকা চাইতে গেলে তৃণমূল শ্রমিক নেতার ভাই তা অস্বীকার করছেন, এমনকি এর আগে কারখানার সামনে তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে টাকা ফেরত চাইতে এলে দাদা ও ভাই মিলে তাকে মারধরের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ দৃষ্টিহীন ঐ মহিলা ও তার স্বামী দেবদাস রায়ের। 

WhatsApp Image 2025-05-12 at 10.05.43

এই অবস্থায় দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবার টাকা চাকরি দুই না পেয়ে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। টাকা ফেরত না পেলে অভাবি পরিবারের মধ্যে থাকা ঐ দম্পতি আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না বলে বলছেন। 

যদিও ফোনে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে অভিযুক্ত তৃণমূল শ্রমিক নেতার ভাই শেখ গেন্ডা। এইদিকে এই ঘটনায় একযোগে বিরোধীরা শাসক দলকে তুলোধোনা করেছেন। 

১২ বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা কলোনির বেসরকারি এই কারখানার সামনে কাজ না পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা আন্দোলন জারি রেখেছেন দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে। এদের অভিযোগ ছিল অসৎ উপায়ে বহিরাগতরা কারখানায় ঢুকে পড়ছে রাতের অন্ধকারে, আর তারা স্থানীয় হয়েও কাজ পাচ্ছে না কারখানায়। এই বিতর্কের মাঝেই এবার খোদ সেই কারখানার তৃণমূল শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে সেই বহিরাগতদেরই টাকা নিয়ে কাজে ঢোকানোর অভিযোগ ওঠায় এবার শাসকের বিড়ম্বনা, অস্বস্তি দুই বাড়লো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।