/anm-bengali/media/media_files/2025/07/24/whatsapp-i-2025-07-24-15-19-24.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: “কেউ চুরি করে অভাবে, কেউ করে পেটের জ্বালায়, আবার কেউ হয়তো নেশার টানে”—এই প্রবাদই যেন হুবহু বাস্তবে মিলে গেল ঝাড়গ্রামের সাম্প্রতিক চুরির ঘটনায়। শহরের বাছুরডোবা এলাকায় একটি আবাসনে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১০ জুলাই গভীর রাতে। অভিযোগ, ওই আবাসন থেকে চুরি যায় কয়েক লক্ষ টাকার গয়না, নগদ অর্থ এবং বেশ কিছু দামি ইলেকট্রনিক সামগ্রী। চোরেরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পুরো অভিযান চালায় বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার পরই ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ প্রথমে পাঁশকুড়া থেকে সঞ্জয় দে নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার জেরায় উঠে আসে আরও দুই অভিযুক্তের নাম। এরপর পুলিশ বাঁকুড়ার একটি হোটেলে হানা দিয়ে গ্রেফতার করে ভেক্টর ঘোষ ও সৌমাল্য চৌধুরী নামে দুই যুবককে। চাঞ্চল্যের বিষয়, এই তিন অভিযুক্তের বাড়ি তিনটি ভিন্ন জেলায়—তবু কীভাবে তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করল, কীভাবে গড়ে তুলল একটি সংঘবদ্ধ চক্র—তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারী অফিসাররা।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/24/chor-2025-07-24-12-14-16.jpg)
এখন প্রশ্ন, এই চুরির পিছনে কি শুধুই অর্থের লোভ? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে কোনও বৃহত্তর অপরাধচক্র? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, এবং প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। চুরি যাওয়া সামগ্রী এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি উদ্ধার হয়নি, তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রয়েছেন বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, শহরের আবাসিক এলাকায় দিনের পর দিন এভাবে চুরির ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তাঁরা প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট দাবি তুলেছেন—চুরির ঘটনার কড়া তদন্ত হোক এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ-প্রশাসন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us