পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতে জায়গার সমস্যা... ঘর ভাঙছে হর্ষিনীর

জায়গা সঙ্কট হওয়ায় ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কের তিন লেপার্ডকে পাঠানো হচ্ছে কোচবিহারের রসিকবিলে। মানসিক ভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত রেসকিউসেন্টারের কর্মী আধিকারিকরা। মনখারাপ তাঁদের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
COVER (12).jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কের লেপার্ড হর্ষিনী  ও সোহেল। দুবারে তাদের মোট পাঁচটা সন্তান হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই জায়গার সঙ্কুলান দেখা দিয়েছে ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে। তাই এবার ঘর ভাঙতে চলেছে হর্ষিনী, সোহেলের।

ঘর ভাঙছে হর্ষিনী, সোহেলের। খুনি হর্ষিনীকে ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে আনা হয়েছিল ঝাড়গ্রামে। সাল টা ২০১৯। সাজা যাবজ্জীবন বন্দীদশা। যদিও তার মন ভালো করার জন্য ২০১৭ তে সেই উত্তরবঙ্গ থেকে আনা সঙ্গীকে তার সাথে থাকার ছাড়পত্র দেয় জুওলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। নাম সোহেল। দুজনের আলাপ পরিচয় এর প্রেম জমে ওঠে। ঘর বাঁধে দুজনে। এবার ঘর ভাঙার পালা

দুই ছেলে সুলতান আর সাহাজাদা কে নিয়ে বাবা সোহেল পাড়ি দিচ্ছে কোচবিহারের রসিকবিলে নতুন ঠিকানায়। ঝাড়গ্রামে এবার সদ্য হওয়া তিন সন্তান কে নিয়ে থাকবে মা হর্ষিনী। আর এই পরিবার ভাঙায় মানসিক ভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত রেসকিউসেন্টারের কর্মী আধিকারিকরা। মনখারাপ তাঁদের। হর্ষিনী, সহেল তাদের ছানাপোনাকে দেখ ভাল করতো সাহেব রাম মূর্মূ আর, শম্ভু মূর্মূ। তাদের বাচ্চাদের ও নিজেদের সন্তানের মত মানুষ করেছেন তারা। এবার তাদের চলে যাওয়ায় মন ভার। খালি হয়ে যাবে এনক্লোজার। এদের চলে যাওয়ার পাশাপাশি কিছুটা খুশিও জানালেন এই জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার অতুল প্রসাদ দে। ছোট জায়গায় থাকতে সমস্যা হচ্ছে তাই রসিক বিলে বড় এনক্লোজার পাবে। এদের ফেয়ারওয়েল ও ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এখন স্বজন বিদায়ের বেদনা।