উন্নয়নের জোয়ারে অবহেলায় গ্রামবাসীরা! বাঁশের সেতুতে প্রাণ হাতে নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত

ভেঙে যাওয়া বাঁশের সেতুতে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। দাসপুরের দাসপুর-২ ব্লকের পাঁচগেছিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ জানানো হয়েছে প্রশাসনকে। কোনও লাভ হয়নি।

New Update
COVER (6).jpg



নিজস্ব সংবাদদাতা: ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত করতে হচ্ছে পারাপার। আর তাতেই ঘটছে বিপদ। কেউ ভেঙেছে হাত,কেউ ভেঙেছে পা। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে সাঁকোর বেহাল অবস্থা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন, সাঁকো মেরামতের কথা জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয়েছে সাঁকো মেরামতের জন্য অর্থ নেই তাদের কাছে। তাই এখন সম্ভব নয়। সবে মিলিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের পাঁচগেছিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-২ ব্লকের পাঁচগেছিয়া গ্রামের। গ্রামের বাসিন্দা কল্পনা দাস সাঁকো পারাপারের সময় সাঁকোর পাটা ভেঙে মাঝ বরাবর আটকে যান ভেঙে যায় বাম হাত। গত ২৯ নভেম্বর ওই এলাকার আরও এক বাসিন্দা সঞ্জয় সামন্তের পারাপারের সময় পাটাতন ভেঙে যায়। যার ফলে তাঁর বাঁ পা ভেঙে যায়। এছাড়াও সাঁকো পার হতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন আরও অনেকেই। প্রায় ৩০-৩৫ টি পরিবারের পারাপারের মাধ্যম গ্রমের খালের উপর এই বাঁশের সাঁকো। যেটি দীর্ঘ সময় ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও রকম কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি স্কুলের পড়ুয়াদের  প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই পারাপার করতে হচ্ছে এই ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকো দিয়ে। গ্রামবাসীর দাবি ঘুরপথে দাসপুরের সাথে যোগাযোগ করতে হলেও, সেই রাস্তাও বেহাল অবস্থা, এমনকি সেই দিকেও যে  সাঁকো রয়েছে পারাপারের জন্য সেটিরও বেহাল পরিস্থিতি। কেন প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না এই সাঁকোটিকে ভালোভাবে মেরামত করতে বা নতুন করে নির্মাণের ক্ষেত্রে,উঠছে প্রশ্ন।

এই বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন,পুরো বিষয়টি আমরা জানি। এই মুহূর্তে পঞ্চায়েতের ব্যাক্তিগত ফান্ডে টাকা নেই,তাই এখন সেতু নির্মাণ বা মেরামত কিছুই করা সম্ভব নয়,ব্লক প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।