/anm-bengali/media/media_files/2025/08/01/election-commission-a-2025-08-01-11-17-35.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটের কাজ নিয়ে ফের চাঞ্চল্য। মাত্র কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ির মালবাজারে এক বিএলও কাজের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই নদিয়ায় একই পরিস্থিতি। কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায় শনিবার সকালে রিঙ্কু তরফদার নামে বছর একান্নর এক বুক লেভেল অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
রিঙ্কুর ঘর থেকেই মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানে তিনি স্পষ্ট লিখে গিয়েছেন—“বিএলও-র কাজ তুলতে না পারলে প্রশাসনিক চাপ আসবে। তা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।” আরও লিখেছেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক দল করি না। খুব সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই অমানুষিক কাজের চাপ আমি নিতে পারছি না। আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/08/sir-2025-11-08-21-46-48.jpg)
পরিবারের দাবি, রিঙ্কু তরফদার স্থানীয় একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা। অনলাইনের কাজে বিশেষ দক্ষ ছিলেন না। তবুও তাঁকে বিএলও-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন। সেই কারণেই শেষপর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল নদিয়ার জেলাশাসক ও ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের কাছ থেকে দ্রুত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। কমিশন সূত্রে খবর, ফোনে জেলাশাসকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও করেছেন সিইও।
এর আগে জলপাইগুড়ির মালবাজারে শান্তি মুনি ওরাওঁ নামে আরেক বিএলও-র আত্মহত্যার ঘটনায় কাজের চাপে ভেঙে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার রিপোর্ট এখনও কমিশনের হাতে আসেনি। তার মধ্যেই আবার নদিয়ায় আরেক বিএলও-র মৃত্যু প্রশাসনের ওপর নতুন চাপ তৈরি করেছে।
ক্রমাগত দুই বিএলও-র মৃত্যুর পর বড় প্রশ্ন উঠছে— ভোটের কাজের বাড়তি চাপ কি প্রশাসনিক কাঠামোর ভেতর বিপর্যয় তৈরি করছে? সাধারণ স্কুলশিক্ষকদের ওপর এভাবে দায়িত্ব চাপানো কতটা ন্যায়সঙ্গত?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us