/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করার সঙ্গে-সঙ্গে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে: হাসপাতালে কর্মীদের নিরাপত্তা কোথায় ছিল? কেন এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলো?
হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে একইসময় একযোগে এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। ওই হাসপাতালে অধ্যক্ষ ইতিমধ্যে এই কর্মসূচি বাতিল করার আবেদন করেছিলেন।
এই ঘটনার পর সেখানে উত্তেজনার পরিবেশ বিরাজ করছে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল পর্যন্ত সরব হয়ে উঠেছে। পুলিশ মбо জানিয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থা ‘রিলায়েবল’ এবং আরও এক ঠিকাদার সংস্থাকে শোকজ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাশকুড়ার এক হাসপাতালে একই রকম ধর্ষণ–হুমকির অভিযুক্ত যে ব্যক্তি—জাহির আব্বাস খান—তিনি ওই রিলায়েবল সংস্থারই ফেসিলিটি ম্যানেজার ছিলেন।
বাংলায় সবচেয়ে আলোচিত ছিল রিজভী কর-কাণ্ড। এরপরেও রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে এমন ভয়াবহ অভিযোগ সামনে আসছে। এবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ার সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মারধর ও ধর্ষণের হুমকি নতুন করে তুলে দিয়েছে এই সংস্থার নিরাপত্তা ও পরিচালনার বহুভাগ প্রশ্ন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/24/uluberia-aa-2025-10-24-13-17-17.png)
হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব নিজেই মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের চিকিৎসক বিধায়ক নির্মল মাজি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘ডিউটিতে থাকলেও হাসপাতালে ইন্টারনাল সিকিউরিটি কর্মীদের মধ্যে ৩০-৩৫ শতাংশই আসছেন না, মহিলা নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে, আইডি ও ইউনিফর্ম আবশ্যক, কোণাপথ-গেট এমনভাবে করতে হবে যাতে একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে ঢুকতে না পারে।’
হাসপাতালের অধ্যক্ষ সনৎকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, «নিরাপত্তায় খামতি ছিল, এই ধরনের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, ভিজিটিং আওয়ারে ব্যক্তিরা ঢুকে পড়েছে। আমাদের অপরাধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্যানিক বাটন বসানোর প্রস্তুতি চলছে।’»
এ ঘটনার পর প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বুধবার ভাজপা হাওড়া গ্রামীণের অফিসের সামনে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। একই দিন বাম ছাত্র ও মহিলা সংগঠন, চিকিৎসকদের সংগঠনও হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছে।
এই ঘটনায় শুধুই একজনার সমস্যাই নয়। প্রশ্ন হলো, সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত দুর্বল কেন? ভবিষ্যতে এমন আরও ভয়াবহ ঘটনা যাতে না হয়—সেটা নিশ্চিত করার জন্য এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে সর্বত্র।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us