“ফিরে এলাম…” বাংলাদেশি ‘পুশব্যাক’-এর নরকযন্ত্রণার ভয়ংকর গল্প শুনিয়ে চোখ ভিজলেন সোনালি!

বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’-এর পর আদালতের নির্দেশে দেশে ফিরলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি। দিল্লি পুলিশ ও বিএসএফের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন কৃতজ্ঞতা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
sonali bibi

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে কৃতজ্ঞতা জানালেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি। সীমান্ত পেরিয়েই তিনি বলেন, “ফিরে এলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সামিরুল ইসলামকেও।” তিনি জানান, বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আর্থিক সাহয্যও পেয়েছিলেন।

সোনালি জানান, সেই অভিশপ্ত রাতে তিনি, সুইটি ও তাঁদের পরিবার বারবার দিল্লি পুলিশ ও বিএসএফের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই আটকে ছিলেন সোনালি ও তাঁর নাবালক ছেলে।

india bangladesh border

তাঁদের দেশে ফেরানো নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়। উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানায়, সোনালিদের ফিরিয়ে আনতেই হবে। কেন্দ্র সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও শীর্ষ আদালতও একই নির্দেশ দেয়। অবশেষে মালদহ সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরলেন সোনালি ও তাঁর ছেলে।

দেশে ফিরেই সোনালি বলেন, “বাংলাদেশে খুব কষ্টে ছিলাম, তবে ওখানের পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেনি। মুখ্যমন্ত্রী টাকা পাঠিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আর কোনও দিন দিল্লি যাব না।”

তবে তাঁর স্বামী, সুইটি বিবি ও তাঁদের পরিবার এখনও বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন। কবে তাঁরা ফিরে আসবেন, তা স্পষ্ট নয়। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, মানবিকতার খাতিরে শুধু সোনালিকে আনা হয়েছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে বাকি পুশব্যাক হওয়া মানুষদেরও ফিরিয়ে আনা হবে।

কয়েকদিন আগেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কাউকে অনুপ্রবেশকারী মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে পুশব্যাক করা ঠিক নয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।