টুকরো দেহ উদ্ধার, জেল হেফাজতে শিক্ষক, রামপুরহাটের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করার ঘটনায় রামপুরহাট থানার পুলিশ শুক্রবার চার্জশিট জমা দিয়েছে। দেহ উদ্ধারের ১০ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করা হলো। এদিন ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের পর ধৃত শিক্ষককে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে হাজির রাখে এবং ২৮ অক্টোবর চার্জ গঠনের দিন নির্ধারণ করেছে। ততদিন পর্যন্ত ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট ছাত্রীটি টিউশন পড়তে বের হয় এবং আর বাড়ি ফেরেনি। তার পরিবারের অভিযোগে রামপুরহাট থানায় নিখোঁজের মামলা দায়ের করা হয়। ২০ দিনের মাথায় ১৬ সেপ্টেম্বর কালিডাঙা গ্রামের কাছে জলাজমি থেকে তার টুকরো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তার স্কুলের ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষককে। অভিযোগ, শিক্ষক ছাত্রীকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। জানা গেছে, শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।

ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়। মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শুধু একজন শিক্ষকই এই অপরাধের জন্য দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গেছেন।

নাবালিকা ছাত্রীকে আদালতের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চার্জশিটে বলা হয়েছে, ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার দিন বা পরদিনই তাকে খুন করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক জেরায় সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছে।