হরি ঘোষ, কাঁকসা: ‘ঐ এল বৈশাখ, ঐ এল গ্রীষ্ম; খাইখাই রবে যেন ভয়ে কাঁপে বিশ্ব!’ কবি সুকুমার রায়ের ঐ এল গ্রীষ্ম কবিতার লাইন মিলে যাচ্ছে আকাশে বাতাসে। বৈশাখের শুরুতেই ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। সকাল ন'টার পর বাড়ি থেকে বেরোনোই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নাজেহাল অবস্থায় বন্যপ্রাণ।
কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রয়েছে ১০০ হরিণ, কয়েকশো ময়ূর, হায়না, ভারতীয় প্রজাতির নেকড়ে, শৃগাল, নীলগাই সহ কয়েকশো প্রজাতির পাখি। তবে সেইসব বন্যপ্রাণ রয়েছে একেবারে সুস্থ। কারণ দুর্গাপুর বনাঞ্চলের শিবপুর বিটের বন কর্মীরা বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/25/EGx4rJ3JsIDRdoiPFjU4.jpeg)
বনাঞ্চলের ভেতর বেশ কয়েকটি পাত্রে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস মেশানো জল আর কাঁচা শাকসবজি। জঙ্গলের মাঝে বনদপ্তরের জলাশয়ে জলের যোগান দিতে চালানো হচ্ছে পাম্প। ওআরএস মেশানো জল খেয়ে একেবারে শরীরকে সতেজ রাখছে বন্যপ্রাণ।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা দীপ দত্ত বলেন, “বনদপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ মতো আমরা ওআরএস মেশানো জল দিচ্ছি। কোনও কোনও দিন টাটকা শাকসবজি দিচ্ছি। আমাদের সাথে চিকিৎসকরাও আসছে। কোনও হরিণ বা ময়ূর অসুস্থ হলে তাদের যত দ্রুত সুস্থতা করা যায় সেজন্য আমাদের বিশেষ নজরদারি চলছে”।