ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপে প্রচার1

কিসের প্রচার করা হচ্ছে?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-05-07 at 5.38.45 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঘাটাল: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তব রূপ দিতে  ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে কাজ শুরু হতেই দাসপুর ও ঘাটালে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। 

মোট ১২টি পর্যায়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হবে যার মধ্যে একটি পর্যায় হল দাসপুর চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণ ও খনন। চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণের জন্য কেনা হবে জমি। জমি দিতে নারাজ দাসপুরের কৃষকেরা শুরু করেছেন আন্দোলন। কৃষক ও স্থানীয় মানুষকে বোঝানোর লক্ষ্যে লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপ তৈরি করেছে সেচ দফতর। উল্লেখ করা হয়েছে চন্দ্রেশ্বর খাল খননের ফলে কিভাবে উপকৃত হবেন এলাকার কৃষক এবং সাধারণ মানুষ। ঘাটালে মূলত শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতী নদীর জল  ঘাটার শহর হয়ে  ৪৫ কিলোমিটার ঘুর পথে রূপনারায়ণে গিয়ে পড়ে। দাসপুরের বৈকন্ঠপুর থেকে গুডলি পর্যন্ত চন্দ্রেশ্বর খা  সম্প্রসারণ ও খনন করা হলে সহজে অর্থাৎ ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই শিলাবতী নদীর জল গিয়ে পড়বে রূপনারায়ণে। ফলে শিলাবতী নদীর জলের চাপ কমবে। 

ঘাটালেও আন্দোলন শুরু করেছেন শিলাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ব্যবসায়ী থেকে কৃষকেরা। মহকুমা প্রশাসনের দাবি ঘাটালেও স্থানীয় মানুষদের বোঝানোর জন্য  লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপিং তৈরি করার আবেদন করা হয়েছে শেষ দফতরের কাছে। এক কথায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কি রূপরেখা রয়েছে এবং কার্যকর হলে মানুষের কি সুবিধা হবে সব তথ্যই থাকবে এই হ্যান্ডবিল ও ভিডিও ক্লিপে। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের দাবি অধিকাংশ কৃষক জমি দিতে সম্মতি পত্রে সই করলেও কিছু কৃষক যারা জমি দিতে চাইছেন না তাদেরকেও বোঝানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সকলেই জমি দেওয়ার সম্মতি পত্রে সই করবেন তারাও। 

digad

প্রশাসন থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে জোর করে কোনও কৃষকের জমি নেওয়া হবে না। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েই কৃষকদের কাছ থেকে জমি নেবে সরকার। এলাকার কিছু কৃষক ও কিছু ব্যবসায়ীর আপত্তি থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে ঘাটালবাসী চাইছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দ্রুত কার্যকর হোক। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে তবেই বন্যার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে ঘাটাল। 

ghleaf