/anm-bengali/media/media_files/2025/07/11/whatsapp-image-2025-07-11-at-2025-07-11-11-55-12.jpeg)
DURGAPUR
নিজস্ব সংবাদদাতা : ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে মাটিতে পড়লেন। আর তারপরেই মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। আর এই ঘটনার জেরেই এবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, দাবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তদন্ত করছে পুলিশ। মৃত প্রৌঢ়ের নাম নেপাল চন্দ্র দাস (৮৫)। দুর্গাপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পেটে ব্যথা নিয়ে নেপাল চন্দ্র দাসকে চলতি সপ্তাহের সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুরুষ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন নেপালবাবু। কিন্তু গত বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে খবর আসে, নেপালবাবু হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। তারপরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যায়। গিয়ে দেখেন নেপালবাবুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা এলাকা জুড়ে চরম শোরগোল পড়ে যায়। মৃতের বৌমা অপু দাসের অভিযোগ,"আমার শ্বশুর চিকিৎসাধীন ছিলেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তারই মধ্যে ঘটল অঘটন। হাসপাতালে নিরাপত্তার গাফিলতি ছাড়া আমার শ্বশুরমশাইয়ের মৃত্যু হত না। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্ত করার আবেদন রেখেছি।" হাসপাতালের সুপার ডাক্তার ধীমান মন্ডল বলেন,"হাসপাতালের ছাদের দরজা খোলা ছিল। তখনই উঠে গিয়েছিলেন কোনও কারণবশত ওই রোগী। তারপরেই সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করেনি। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/11/whatsapp-image-2025-07-10-at-2025-07-11-11-54-55.jpeg)
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করে বলে,"এত সিসি ক্যামেরা, এত বাউন্সার, এত নিরাপত্তারক্ষী, তারপরেও হাসপাতালের ছাদে কিভাবে গেল চিকিৎসাধীন রোগী। আর সেখান থেকে কিভাবেই বা ঝাপ দিয়ে মৃত্যু হল ওই রোগীর। এটা সম্পূর্ণ হাসপাতালের গাফিলতি।'' পাল্টা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপেন মাঝি বলেন,"বিষয়টি শুনেছি। কিভাবে একজন রোগী হাসপাতালের ছাদে উঠল সেই নিয়ে পুলিশের কাছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত করার আবেদন রেখেছি। তবে বিরোধীদের বিরোধিতা করাই কাজ। ২০২৬ এই সরে যাবে পায়ের তলার সব মাটি।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us