/anm-bengali/media/media_files/2025/10/11/screenshot-2025-10-11-1-am-2025-10-11-11-22-06.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম বর্ধমান: রাজ্যে ফের গণধর্ষণের শিকার কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। যার ফলে নারী সুরক্ষা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে। গত বছর আরজি করে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল রাজ্য দেশ তথা ভিনদেশের মানুষজন। সেদিনের কথা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। শুধু আরজি কর নয় তারপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে স্কুল ছাত্রী, কলেজ ছাত্রী এমনকি পূর্ণবয়স্ক মহিলারাও। তারপরও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেয়নি রাজ্যের প্রশাসন। সেই কারণে আরো একবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার শহর দুর্গাপুরে ঘটলো গণধর্ষণের ঘটনা। যাকে ঘিরে শোরগোল দুর্গাপুর।
জানা যায়, শুক্রবার রাত প্রায় ন’টা নাগাদ ওই ছাত্রী তাঁর সহপাঠী এক ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে পাঁচ যুবক এসে তাদের আটক করে এবং ছাত্রীকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। পরে তরুণীর সহপাঠী তাঁকে উদ্ধার করে কলেজে নিয়ে যান। ছাত্রীকে ভর্তি করানো হয় ওই হাসপাতালেই। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতা ওড়িশার বাসিন্দা। সহপাঠী এক ছাত্রী নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে ঘটনাটি জানান। রাতেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্গাপুরে চলে আসেন। হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময়েই ওই তরুণী পরিবারের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলেন।
/anm-bengali/media/post_attachments/09cbbeee-200.png)
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, যে ছাত্রের সঙ্গে ওই তরুণী কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন, তাঁর ভূমিকাও অত্যন্ত সন্দেহজনক। তাঁদের দাবি, ঘটনার সময়ে প্রতিরোধ না করে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘মেয়েকে দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে নির্যাতনের এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেও পারিনি। যা পরিস্থিতি মেয়েকে আর এখানে রাখব না।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বারংবার এ ধরনের ঘটনায় রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার জোরালো প্রশ্ন উঠছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us