/anm-bengali/media/media_files/2025/04/30/ACuXXBmkCdmetrWmMwII.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: চারিদিক ঢেকে গেছে ধোঁয়ায়। চোখ যেখানেই যায়, সেই দিকটাই ধূসর। খড়দহের ঈশ্বরীপুর এলাকায় এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে একটি রঙের কারখানায় আগুন লাগার কারণে। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কারখানায় থাকা রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ আগুনকে আরও তীব্র করে তোলে।
সাতটায় খবর পাওয়া মাত্রই দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ছুটে যায়। তবু আগুনের তীব্রতা এতটাই যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এরপর আরও তিনটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়, কিন্তু পরিস্থিতি এখনও হালকা হয়নি। সকাল ৮টার দিকে দমকল বাহিনী আরও দশটি ইঞ্জিন পাঠায়। মোট ২০টি ইঞ্জিন নিয়ে শুরু হয় আগুন নেভানোর কঠিন লড়াই।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2024/12/19/9QPqs1TAfR9IY9qcqwW9.jpg)
ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও দমকল বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়, কারণ ওই কারখানার পাশে আরও অনেক ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। আগুন একটি কারখানা ভস্মীভূত করার পর তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি গেঞ্জি কারখানাতেও।
সাড়ে নয়টার দিকে দমকল বাহিনী আগুনের মূল উৎসে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক অনুমান, আগুনের কারণ ছিল শট সার্কিট। দমকলকর্মীরা জানান, “আমরা আগুনটিকে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরে রেখেছি। পাশে থাকা অন্যান্য কারখানায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রোধ করেছি।” অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, “এতগুলো কারখানার মধ্যে কোনও ব্যবধান না থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে আপাতত কোনো হতাহতের খবর নেই।”
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণে আসা এলাকা এখনও সতর্ক নজরে রাখা হয়েছে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে, মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে যাতে আরও কোনো ক্ষতি না ঘটে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us