/anm-bengali/media/media_files/2025/07/28/arrested-a-2025-07-28-18-53-37.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: উলুবেড়িয়ার এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ খারিজ করলেও, আক্রান্ত চিকিৎসক যা জানিয়েছেন, তা আরও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকেলে। চিকিৎসক জানান, “রোগী ভর্তি হওয়ার পর আমি তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু যন্ত্রণায় কাতর অবস্থায় সে হঠাৎ করে আমাকে লাথি মেরে দেয়। তবুও আমি চিকিৎসা চালিয়ে যাই। তখন প্রায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা বাজে। ছয়টার পর ভিজিটিং টাইম শেষ হয়, তারপর সিনিয়র চিকিৎসকরা আসেন রোগীদের দেখতে — আমি ওই কথাই পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।”
চিকিৎসকের অভিযোগ, “আমাকে মারধর করা হয়, হাত মুচড়ে দেওয়া হয়। এমনকি হুমকি দেওয়া হয়, হাসপাতালের বাইরে পা রাখলে মেরে ফেলা হবে। তাঁদের মধ্যে একজন বারবার বলছিলেন, তিনি নাকি শাসকদলের নেতা এবং পুলিশের বড় অফিসার। বলছিলেন— আমি নাকি ‘জ্যান্ত বাড়ি ফিরতে পারব না।’”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/16/arrested-123-2025-08-16-14-44-43.jpg)
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে বাবুলাল নামে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে আক্রান্ত মহিলা চিকিৎসকের বয়ানের ভিত্তিতে বাবুলালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুলাল পেশায় অস্থায়ী হোমগার্ড হলেও এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক মহলের ভাষায়, তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। আরও জানা গেছে, উলুবেড়িয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুক্লা ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি।
ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং হামলার সময় অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us