ট্রেনে চুরি! যাত্রীর ব্যাগ উধাও, খড়গপুর জিআরপি উদ্ধার করল ১৫ লক্ষ টাকার গহনা

কামাখ্যা পুরী এক্সপ্রেসে চুরি যাওয়া ১৫ লক্ষ টাকার সোনার গহনা উদ্ধার করল খড়গপুর জিআরপি। তিন দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার, সিসিটিভির সূত্রে বড় সাফল্য পুলিশের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
WhatsApp Image 2025-11-07 at 2.24.30 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা:  কামাখ্যা পুরী এক্সপ্রেসে চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় বড় সাফল্য পেল খড়গপুর জিআরপি। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সোনার গহনা উদ্ধার করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাদ্দাম হোসেন ওরফে নূর আলম, যিনি চুরি করে সোজা হাওড়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী দল।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ নভেম্বর উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের এক মহিলা যাত্রী অভিযোগ জানান যে, কামাখ্যা পুরী এক্সপ্রেসে করে পারিবারিক অনুষ্ঠানের পর আত্মীয়দের সঙ্গে ভুবনেশ্বর ফিরছিলেন। তাঁর ব্যাগে ছিল চারটি সোনার চেন, চারটি আঙটি, চার জোড়া কানের দুল, একজোড়া নোয়া এবং একটি মোবাইল ফোন — সব মিলিয়ে আনুমানিক মূল্য ১৫ লক্ষ টাকার বেশি। খড়গপুর স্টেশনে পৌঁছনোর কিছু আগেই তাঁর অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে অজ্ঞাত দুষ্কৃতী ব্যাগটি নিয়ে চম্পট দেয়।

খবর পেয়ে খড়গপুর জিআরপি-র এসআরপি দেবশ্রী সান্যালের নির্দেশে আইসি প্রশান্ত কীর্তনিয়ার নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ দল তদন্ত শুরু করে। ট্রেনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ দুষ্কৃতীর মুখ চিহ্নিত করে। এরপর হাওড়া শহরে তল্লাশি চালিয়ে সাদ্দাম ওরফে নূর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

arrested 123

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চুরি করা গহনা বিক্রি করা হয়েছিল হাওড়ার বেলিলিয়াস এলাকার এক সোনার দোকানে। পুলিশের দল বুধবার রাতে সেই দোকানে হানা দিয়ে উদ্ধার করে সোনার গহনার বড় অংশ। দোকানদার ভুবনেশ্বর প্রসাদ সাহা এবং এক মশলা ব্যবসায়ী শঙ্কর শাককেও গ্রেপ্তার করা হয়, কারণ তাঁর কাছেই নূর আলম কিছু গহনা লুকিয়ে রেখেছিল।

এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল জানান, “ওই মহিলার সামান্য অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছিল। তবে আমরা দ্রুত সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি।”

গ্রেপ্তার তিনজনকে ইতিমধ্যেই আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া গহনা আদালতের মাধ্যমে দাখিল করা হবে, তারপর ওজন ও আনুমানিক বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খড়গপুর জিআরপি-র এই তৎপরতায় ভরসা ফিরে পেয়েছেন যাত্রীরা। রেলপুলিশের সক্রিয় তদন্তে উঠে এসেছে, চুরির এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনে যাত্রীদের লক্ষ্য করে কাজ করত। এখন প্রশ্ন উঠছে— এই চক্রের পিছনে আরও কেউ কি যুক্ত আছে? তদন্তকারীরা সেই দিকেই নজর রাখছেন।