জল ডুবেছে ঘাটাল শহর! দোকানপাট বন্ধ, নৌকাতেই চলছে জীবনযুদ্ধ! প্রশাসন বলছে—এখনও শুরুই বর্ষা!

কার্যত জলের তলায় ঘাটাল শহর।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
WhatsApp Image 2025-07-11 at 2.15.25 PM (1)

নিজস্ব সংবাদদাতা: বর্ষা মরসুম ঠিকমতো শুরু হওয়ার আগেই বারবার বন্যার কবলে জর্জর ঘাটাল। একবার নয়, দু’বার নয়—এই মরসুমে ইতিমধ্যেই তিনবার প্লাবিত হল ঘাটাল শহর ও সংলগ্ন অঞ্চল। একটানা ভারি বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বাড়ায় ফের জল ঢুকেছে ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ডে। শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জল রাস্তা, বাজার, দোকানপাট এমনকি বসতবাড়ির দোরগোড়া পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে।

ঘাটাল শহরের আরোগোড়া ১ নম্বর চাতাল রাজ্য সড়ক একপ্রকার সম্পূর্ণ জলের নিচে। রাস্তাঘাটে হাঁটু সমান জল, ফলে যান চলাচল বন্ধ, বন্ধ রাজ্য সড়কের ধারে থাকা দোকানপাটও। চলাফেরার একমাত্র উপায় এখন ডিঙি বা নৌকা। চিকিৎসা, বাজার, অফিস—প্রতিটি প্রয়োজনেই ঘাটালবাসীর এখন পা রাখতে হচ্ছে পানিতে।

এই অবস্থায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এখনই যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে বর্ষা পুরোপুরি নামলে কী হবে? কারণ পুরো মৌসুম এখনও বাকি, নিম্নচাপ পুরোপুরি সরেও যায়নি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। প্লাবিত অঞ্চলে প্রয়োজনীয় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনও পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা না দিলেও, নদীর জলস্তর আরও বাড়লে সেই আশঙ্কাও রয়েছে।

hatal

চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া—এই গোটা অঞ্চলের ওপরেই নিম্নচাপের প্রভাব বজায় থাকায় শিলাবতী, কেঠিয়া এবং ঝুমি নদীর জল বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। চন্দ্রকোনায় যদিও কিছুটা স্বস্তি মিললেও, ঘাটাল শহর ফের জলবন্দি হয়ে পড়েছে।

বিধ্বস্ত মানুষ প্রশ্ন তুলছেন—এই জলযন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে? প্রতি বছর বর্ষা এলেই ঘাটালবাসীর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগের ছায়া।