/anm-bengali/media/media_files/2025/10/10/whatsapp-2025-10-10-16-07-35.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্যার জল নামতেই ঘাটালে শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের প্রস্তুতি। রাজ্যের সেচমন্ত্রী ডঃ মানস ভূঁইয়া আগেই জানিয়েছিলেন, জল নেমে গেলেই মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হবে। সেই ঘোষণার পরই প্রশাসন দ্রুত কাজে নেমে পড়েছে।
শুক্রবার প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘাটালের শিলাবতী নদীর পশ্চিম পাড় পরিদর্শন করেন। এখানে তৈরি হবে গার্ড ওয়াল, যা ঘাটাল শহর ও আশপাশের গ্রামগুলোকে বন্যার জলের হাত থেকে রক্ষা করবে। প্রশাসনের দাবি, যতটা সম্ভব কম সংখ্যক বাড়িঘর ও জমি ক্ষতিগ্রস্ত করে কীভাবে গার্ড ওয়াল তৈরি করা যায়, সেটাই ছিল আজকের মূল পরিদর্শনের উদ্দেশ্য। এক কথায়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজে এখন সম্পূর্ণ তৎপর প্রশাসন।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির সদস্য এবং মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক উজ্জ্বল মাখাল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য শংকর দোলই, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর, ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান তুহিন কান্তি বেরা, এবং সাব-কমিটির সদস্য দিলীপ মাঝি ও অরুণ মণ্ডল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/10/ghatal-2025-10-10-13-04-57.png)
তাঁরা শিলাবতী নদীর পাড় ঘুরে দেখেন এবং কোথায় কতটা এলাকা কাটতে হবে, কোথায় বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে হবে, আর কোথায় গার্ড ওয়াল তৈরি করলে মানুষ সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন—সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা চাই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ দ্রুত শুরু হোক, কিন্তু একসঙ্গে চাই মানুষের ক্ষতি যেন যতটা সম্ভব কম হয়। তাই আমরা মাঠে নেমে প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা খতিয়ে দেখছি।”
এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে ঘাটাল শহর ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা দীর্ঘস্থায়ী বন্যার হাত থেকে রেহাই পাবে বলে আশাবাদী স্থানীয় মানুষজন। বহু বছর ধরে চলা বন্যা-দুর্ভোগ এবার হয়তো শেষ হতে চলেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us