স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ। নিজের সন্তানকে পরিচয় দিতে অস্বীকার। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করে নিজের আট মাসের শিশুকে কুপিয়ে খুন করে বাবা। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো খনি অঞ্চল অন্ডালে। নিজের আট মাসের সন্তানকে থেঁতলে হত্যা করলো বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল থানা ও পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বহুলা মতি বাজার নিউ কোয়ার্টার এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্ত অজয় ভুঁইয়াকে আটক করেছে পুলিশ। শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিশুর মা ও তার পরিবার।
ঘটনায় অভিযুক্ত অজয় ভুঁইয়া পেশায় দিনমজুর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে অশান্তি চলছিল। ঘটনার সূত্রপাত তাঁদের ৮ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে। অজয় তার স্ত্রী কে সন্দেহের চোখে দেখতেন। তিনি তাঁর ৮ মাসের সন্তানকে নিজের সন্তান বলে স্বীকার করতেন না বলে জানা যায়। এ কারণেই তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকতেন। অভিযুক্ত অজয় ভুঁইয়ার মা তথা শিশুর ঠাকুমা জানান, অজয়কে বলেন স্ত্রীকে ঘরে আনার জন্য। তিনি বলেন, বৌমা বাড়িতে এলে সকলে সুখে থাকবে। সে কারণেই তিনি বৌমাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আট মাসের সন্তানকে নিয়ে বৌমা বাড়িতে আসার পর থেকেই অজয় সেই সন্তানকে অস্বীকার করতে থাকেন। এই নিয়ে অজয়ের সঙ্গে স্ত্রীর প্রতিদিন ঝগড়া হতো। বুধবার সকালে অজয় তাঁর সন্তানকে কোলে করে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বের হয়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনির ঝোপের কাছে অজয়কে দেখতে পান তাঁর মা। অজয়ের মায়ের সন্দেহ হলে অজয় কে জিজ্ঞাসা করে সে তার সন্তানকে নিয়ে এসেছে কিনা? অজয় অস্বীকার করে। এরপর অজয় তাঁর মাকে ধাক্কা মারেন। সেই সময় অজয়ের মা পাড়ার লোক ডাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই ঝোপ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আট মাসের শিশুকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে আসে অন্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আট মাসের শিশুকে রাণীগঞ্জের একটা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে গা শিউরে উঠছে এলাকার বাসিন্দাদের। কিভাবে নিজের বাবা তার ৮ মাসের শিশুসন্তানকে হত্যা করতে পারে? ঘটনায় অভিযুক্ত অজয়কে আটক করেছে পুলিশ। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত অজয় ভুঁইয়া মুখ খুলতে নারাজ। এটা কি ঠান্ডা মাথার খুন না অন্য কিছু, সবকিছু পরিষ্কার হবে ময়না তদন্তের পর।এই বিষয় তদন্তে শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ।