পথ দুর্ঘটনা রুখতে অভিনব উদ্যোগ দুর্গাপুরে

বেলচা, কোদাল, ঝাড়ু ধরেছে পুলিশ। পথ দুর্ঘটনা রুখতে অভিনব উদ্যোগ দুর্গাপুরে।

author-image
Debjit Biswas
New Update
"Summer Kits"

নিজস্ব সংবাদদাতা : বেলচা, কোদাল, ঝাড়ু ধরেছে পুলিশ! এও কোথাও হয় নাকি? আর কোথাও না হলেও হয় দুর্গাপুরে। কারণ যে এলাকায় পথ দুর্ঘটনা রুখতে তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর ট্রাফিক বিভাগ। যে এলাকায় ট্রাফিকের ডিসি সতীশ পশুমার্থী। 

রবিবারের সকাল। ছুটির দিন বাইক নিয়ে অনেকে যাচ্ছেন বাজার করতে। দূর থেকে নজর পড়লো খাঁকি উর্দি পড়ে আর সাদা পোশাকে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনেক পুলিশ আর সিভিক। বাইক থামিয়ে অনেকে ভ্রু কোঁচকালো। তারপরেই তারা দেখলো কোদাল, বেলচা চালাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা আর ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিচ্ছেন সিভিকরা। 

Traffic

দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের সাধুচাঁদ মুর্মু সরণী এলাকায় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। কারণ একটাই সেই রাস্তায় জমেছে মোড়াম মাটির স্তর। আগাছায় ভরেছে রাস্তর দুই পাস। বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় সেই মোড়াম মাটিতে বাইকের চাকা স্ক্রিট করে পড়তে হচ্ছে অনেককে।একাধিকবার নগর নিগমকে জানানোর পরেও কোন সূরাহা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত পথ দুর্ঘটনা রুখতে উদ্যোগী হল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। রবিবার সাত সকালে সেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বেলচা কোদাল আর ঝাড়ু নিয়ে হাজির হয় ট্রাফিকের আধিকারিকদের সাথে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। কোদাল দিয়ে মোড়াম মাটি সরাতে শুরু করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সঞ্জীব তিওয়ারী, দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সন্দীপ সোম, ট্রাফিক আধিকারিক আলী রেজাক, তাপস গুই সহ ট্রাফিকের আধিকারিকরা। বেলচা এবং ঝাড়ু হাতে সেই রাস্তা পরিষ্কার করতে দেখা যায় ট্রাফিকের সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও।  বাইক চালক তপন অধিকারী বলেন,"যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে বাইকের মাধ্যমে পরিষেবা দি। রাস্তার যা অবস্থা ছিল তাতে দুর্ঘটনা ঘটতো। মাঝেমধ্যেই বাইকের চাকা পিছলে যাওয়ার ভয় থাকতো। আজ ট্রাফিক পুলিশকে যে ভূমিকায় দেখলাম তা ভাবনার বাইরে। উনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কুর্নিশ জানাই।"ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সঞ্জীব তিওয়ারি বলেন,"আমরা বারে বারে দেখতাম এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। সামনে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। সেখানেও পড়ুয়াদের নিয়ে অভিভাবকরা আসেন। তাদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা সেই জন্য রবিবার ছুটির দিন সকাল থেকে নিজেরাই রাস্তা পরিষ্কার করতে নেমেছি। দুর্ঘটনা রুখতে আমরা আগামী দিনেও এভাবে সামাজিক কাজও করতে চাই। সকল মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্ভব হবে দুর্ঘটনা রোধ করা।"