স্বাধীনতার মাটি কেশপুরে আজও বাজে দেশপ্রেমের ডাক

কেশপুরে শহিদ ক্ষুদিরামের প্রয়াণ দিবস পালন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
WhatsApp Image 2025-08-11 at 3.55.51 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা: পরাধীন ভারতের সময় ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত  কেনেডির গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন কেশপুরের তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। এই ঘটনার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেয়। ক্ষুদিরাম ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার প্রথম শহীদ। তিনি ১৮৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের মোহবনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা তৈলক্যনাথ বসু ও মাতা লক্ষীপ্রিয়া দেবীর ঘরে কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত ক্ষুদিরাম জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশমাতৃকার জন্য।

khudiram basu

১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ভোর পাঁচটায় বিহারের মুজাফফরপুর জেলে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি বছর ১১ আগস্ট শহীদ দিবস হিসেবে কেশপুরের মোহবনিতে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। এবারও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, কেশপুর ব্লক ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ দিবস পালিত হয়। শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, সহ-সভাপতি অজিত মাইতি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, “কেশপুরের মোহবনির ছোট্ট ছেলেটি দেশের জন্য প্রথম আত্মবলিদান দিয়েছিল। তাঁর পূণ্যভূমিতে এসে আমি গর্ব অনুভব করছি। এই মাটি স্বাধীনতার মাটি, আমরা যেন কখনোই শহীদদের ত্যাগ ভুলে না যাই, সেটাই আমাদের দায়িত্ব।”