ইউএসজি রিপোর্টে চরম গাফিলতি, চিন্তায় দম্পতি

পানাগড়ে ইউএসজি রিপোর্টে চরম গাফিলতি! অস্ত্রোপচারের পরও 'গলব্লাডার বর্তমান', ক্ষুব্ধ দম্পতি দ্বারস্থ বিডিও ও স্বাস্থ্যদপ্তরের।

author-image
Aniket
New Update
y



নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঁকসা: পানাগড় রেলপাড় এলাকার একটি বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ইউএসজি রিপোর্টে ভয়াবহ ভুল ধরা পড়ল। দুই বছর আগে গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার হওয়া এক রোগীর রিপোর্টে আবারও ‘গলব্লাডার বর্তমান’ উল্লেখ থাকায় চরম আতঙ্কে পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হতেই দম্পতি কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর এবং বিডিওর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানান।

জানা গেছে, পানাগড়ের বাসিন্দা সুব্রত সিনহা তাঁর স্ত্রী দেবপ্রিয়া দেবপ্রিয়া সিনহাকে হজমের সমস্যার কারণে এক গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্টের পরামর্শে স্থানীয় একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ইউএসজি করান। রিপোর্ট হাতে পেয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক বলেন, রিপোর্টে গলব্লাডার থাকা উল্লেখ রয়েছে, অথচ দু’বছর আগেই ওই রোগীর গলব্লাডার অপসারণ হয়েছে। এই ভ্রান্তির ফলে চিকিৎসকও বিভ্রান্তির মুখে পড়েন।

সুব্রত বাবু প্রশ্ন তুলেন বলেন, “যদি এই ভুল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ওষুধ দেওয়া হতো এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব ঘটত, তাহলে তার দায় কে নিত? এটা শুধু প্রিন্টিং মিসটেক নয়, একটা প্রাণঘাতী অবহেলা। আমরা চরম আতঙ্কে ভুগছি।”

এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দম্পতি কাঁকসা বিডিও অফিস এবং স্বাস্থ্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তারা ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

ডায়গনস্টিক সেন্টারের এক আধিকারিক পুণ্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি খণ্ডন করে বলেন, “এই রিপোর্ট ভুল নয়, শুধুমাত্র প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে। এরকম আগে কখনও হয়নি। আমরা ওনাদের বলেছি, চাইলে রিপোর্টটি সংশোধন করে নিতে পারেন বা পুনরায় পরীক্ষা করাতে পারেন।”

তবে প্রশ্ন উঠছে, এমন ‘প্রিন্টিং মিসটেক’-এর দায়ে রোগীর জীবন নিয়ে ছেলেখেলা কি কোনওভাবে মানা যায়? রিপোর্টের ভুলের দায় কে নেবে? এই ঘটনায় স্বাস্থ্যপরিসেবার গুণমান ও নজরদারির ওপর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।