অসমে নোটিস, নাম বাদ– কারা সত্যিই নাগরিক? বিস্ফোরক দাবি ঘিরে তীব্র বিতর্ক!

অসমে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ, নাগরিকত্ব বিতর্ক, রাজবংশী পরিবারে নোটিস এবং ১৯৭১-এর চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার ঝড়।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
mamata

নিজস্ব সংবাদদাতা:  অসমে বহু রাজবংশী পরিবারের কাছে নোটিস পৌঁছেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ডিটেনশন ক্যাম্প সংক্রান্ত তালিকা থেকে প্রায় ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ গিয়েছে, পাশাপাশি বাদ পড়েছেন প্রায় ৭ লক্ষ মুসলিম ভোটারও। তবুও অনেক জায়গায় বলা হচ্ছে—এরা নাকি সবাই বাংলাদেশি ভোটার।

যাঁরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন, তাঁদের দাবি—ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ একসময় একই দেশ ছিল। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, সেই সময়ে এখানে থাকা মানুষদের ভারতের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার কথা। তাই তাঁদের ‘বিদেশি’ বলা যায় না।

এলাকাভিত্তিক দায়িত্বে থাকা বিএলওদের সাহায্য করতে বলা হয়েছে, কারণ অনেক সময় সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় ভুলভ্রান্তি ঘটে। একজন মানুষ কেবলমাত্র এক জায়গায় ভোট দিতে পারেন—এ কথাই পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে।

mamata banerjee laugh

যাঁরা বিহারে ভোট দেননি, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে পারবেন—এটা স্বাভাবিক। তাঁদের নাম বাদ পড়ার কারণ নেই। কিন্তু যাঁরা সত্যিই অন্য রাজ্যে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যেতে পারে—এই মতও উঠেছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের তথ্য ঠিকভাবে নথিভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, হিয়ারিংয়ে যাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। খুব শীঘ্রই সরকারের তরফে ‘MAY I HELP YOU’ ক্যাম্প চালু হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সমস্যার সমাধান সহজেই পেতে পারেন।