“দেশ ছাড়তে হবে” আতঙ্কে রাত কাটছিল, সকালে ঝুলন্ত দেহ—এসআইআর নিয়ে আবারও মৃত্যু দাবি

উলুবেড়িয়ায় এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। দিনমজুর জাহির আব্বাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
sir panic suicide

নিজস্ব সংবাদদাতা: এসআইআর আতঙ্কে আবারও মৃত্যু। উলুবেড়িয়ার মালপাড়া এলাকায় দিনমজুর জাহির আব্বাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আগরাপাড়া, ইলামবাজার, জামালপুর, ডানকুনি—এর পর এবার উলুবেড়িয়ায় একই ছবি। ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠে আসছে, আর প্রতিবারই তৃণমূলের অভিযোগ—এসআইআর আতঙ্কেই প্রাণ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেও খেতে বসে ভয় প্রকাশ করেছিলেন জাহির। তাঁর কথায়, হয়তো ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নেই, হয়তো দেশ ছাড়তে হবে। স্ত্রী বারবার বোঝালেও উদ্বেগ কাটেনি। মঙ্গলবার সকালে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম থেকে উঠেছিলেন তিনি। স্ত্রী বাজারে গেলে বাড়িতে একা ছিলেন জাহির। ফিরে এসে ঘরের ভিতর স্বামীর ঝুলন্ত দেহ দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন স্ত্রী।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পিএইচই মন্ত্রী পুলক রায়। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “এসআইআর আতঙ্কে আরও এক যুবকের মৃত্যু। বিজেপিকে বলব—মৃত্যুর রাজনীতি বন্ধ করুন। কমিশনের কাছে আবেদন, এসআইআর অবিলম্বে বন্ধ হোক।”

dead

জাহিরের স্ত্রীর কথায়, “এসআইআর করে করে মানুষকে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামী মারা গেল, এর দায় কে নেবে?”

তবে বিজেপির পাল্টা সুর—এসব তৃণমূলের নাটক। বিজেপির মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “পুরোটাই মিথ্যে প্রচার। নোটবন্দির সময়েও একই নাটক হয়েছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু ও অস্বাভাবিক ঘটনাগুলোকেও এখন এসআইআর আতঙ্ক বলে চালানো হচ্ছে।”

এসআইআরকে কেন্দ্র করে রাজ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চরমে। একের পর এক মৃত্যু, দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ—ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। আতঙ্কের ছায়া গ্রাস করছে প্রান্তিক মানুষকে। প্রশ্ন ঘুরপাক—এসআইআর চলবে, না থামবে? আর কত মৃত্যু দেখবে বাংলা?