ঘনিয়ে আসছে বিপদ! নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হচ্ছে, প্লাবিত হতে পারে গোটা দক্ষিণবঙ্গ

নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
water logging   aa

নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি এখনও থামার নাম নেই। সকাল পর্যন্ত শহরের ধাপায় সর্বাধিক ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তার পরে রয়েছে উল্টোডাঙা (১০১ মিমি), মানিকতলা (৯৭ মিমি), তপসিয়া (৭৯ মিমি), ঠনঠনিয়া (৭৭ মিমি), বালিগঞ্জ (৭০ মিমি), বীরপাড়া (৫৫ মিমি) ও বেলগাছিয়া (৪৯ মিমি)। শহরের একাধিক রাস্তায় জমেছে জল, ট্র্যাফিক থমকে গেছে, জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া দফতরের (IMD) পূর্বাভাস বলছে, নিম্নচাপের জেরে আজ, আগামীকাল এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলাজুড়ে চলবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গেও শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এই নিম্নচাপ বর্তমানে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে এবং এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আগামী দু’দিনে এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে পৌঁছবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের দিকে।

এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা লুধিয়ানা, মুজাফফরনগর, বরেলি, গোরখপুর, মুজাফফরপুর, আসানসোল হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়ে উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে নিম্নচাপের কেন্দ্রে পৌঁছেছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, ফলে সমুদ্র সম্পূর্ণরূপে উত্তাল থাকবে।

water logging

মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই ২৮ জুলাই, সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়তে পারে, যার ফলে নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরকার ও প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহরবাসীর সামনে আপাতত আরও কিছুদিন দুর্ভোগ জারি থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।