/anm-bengali/media/media_files/7YAdcq0U2TR8vQcXdNBh.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবারের পর বুধবারও রাজ্যজুড়ে নিম্নচাপের প্রভাবে দফায় দফায় বৃষ্টি অব্যাহত। কলকাতা থেকে শুরু করে পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলা জুড়ে চলছে প্রবল বর্ষণ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে জুনের পর জুলাইতেও ফের বন্যার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, রাজ্যের প্রায় সব জেলাই কমবেশি ভিজতে চলেছে।
বিশেষ করে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ রীতিমতো রেকর্ড ছুঁয়েছে। সোমবার গভীর রাত ২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত মানিকতলায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১০২ মিলিমিটার! কালীঘাটে সেই সংখ্যাটা ৬৮.১০ মিলিমিটার। শহরের একাধিক অংশে জল জমে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব।
পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে আরও বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, একদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকলেও অন্যদিকে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। তার ফলে শিলাবতী ও কংসাবতী নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/oPx1qBYO6pgaIoVAkSxU.jpg)
ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়া হলে তা রাজ্যের নিচু অঞ্চলে প্লাবন ঘটাতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দাদের। ওই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওড়া ও হুগলি জেলার নিচু এলাকায় জল ঢুকে পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ডিভিসির জল ছাড়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও সংস্থার মধ্যে পুরনো টানাপোড়েনের আশঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে।
তবে এই আবহে খানিক স্বস্তির খবরও শোনাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও তার আগে টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি থাকছে চরম সতর্কতা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us