/anm-bengali/media/media_files/2025/05/17/1000205642-491962.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্গাপুজোর মুখে কলকাতার ওপর ভয়ঙ্কর বৃষ্টি। সোমবার রাত থেকে শহরে এমন বর্ষণ, যা সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে তুলেছে। এই বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইতিমধ্যেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক বাড়ি ও দোকান জলমগ্ন হয়েছে, হাজারো মানুষ হারিয়েছে তাদের সম্বল।
কিন্তু দেবীপক্ষের আনন্দ থামেনি। কোমর পর্যন্ত জল পেরিয়ে তবুও মানুষ মঙ্গল সন্ধ্যায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় করেছে। কারণ, পুজো তো বছরে একবারই আসে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা ও একাধিক জেলায় আবারও বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হতে পারে। বিশেষ করে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/LkTEdaUfbxwcWz7vFC1k.jpg)
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সতর্কতা রয়েছে। শনিবারও ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অতীতের রেকর্ড দেখলেও ভয় পাওয়ার কারণ আছে। আজ থেকে প্রায় ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল, যা শহর ও দক্ষিণবঙ্গের বড় অংশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। ১৯৮৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সোমবার রাতের বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২৫১.৪ মিলিমিটার।
এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, কারণ দুর্গাপুজোর আনন্দের মাঝেও বৃষ্টির তাণ্ডব আরও অব্যাহত থাকতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us