নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসকদের ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল হয়। সেই মিছিলে চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই মিছিল শেষে প্রতিবাদ মঞ্চে আসেন নির্যাতিতার বাবা। প্রতিমাদ মঞ্চেই তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ১৪০ কোটি মানুষের বাঁচার অধিকার রয়েছে। শুধু আমার মেয়েটার বাঁচার অধিকার ওরা কেড়ে নিল।
প্রতিবাদ মঞ্চে বার বার নির্যাতিতার বাবা সিবিআইয়ের ধীর গতিতে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, "জীবনটাকে তছনছ করে দিয়েছে। শুধু আমার মনে একটা কথা, ১৪০ কোটি লোকের বাঁচার অধিকার আছে। শুধু আমার মেয়ের বাঁচার অধিকারটা ছিনিয়ে নিয়েছে। কত যন্ত্রণা তাকে দিয়েছে। অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছে। তা সত্ত্বেও এতদিন হয়ে গেল, আমরা বিচারের কোনও প্রসেস দেখতে পাচ্ছি না। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরা প্রমাণ লোপাটের জন্য হয়েছেন। তাঁরা কেন প্রমাণ লোপাট করেছেন ? সেই উত্তর এখনও আমরা পাইনি। নিশ্চয়ই কাউকে আড়াল করার জন্য প্রমাণ লোপাট করেছেন। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেনি। উল্টে আমরা যখন আরজি করে পৌঁছেছি, ওই অবস্থার মধ্যে হাসপাতালে সেমিনার রুমের গেটের বাইরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেই সময়টা যে কী যন্ত্রণার ছিল, আমি জীবনে কোনওদিন কাউকে বোঝাতে পারব না। আর ভুলতেও পারব না। আপনারা সবাই আছেন বলে আজ দুটো কথা বলতে পারছি। প্রথম দিকে আমরা প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। আজ আপনারা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সবাইকে আমি ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। সবাইকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।"