নিজস্ব সংবাদদাতা: কাজে ফিরুন। অনশনরত চিকিৎসকদের আবেদন জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলেও মুখ্যসচিব জানান।
কী বললেন মুখ্যসচিব? সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যসচিব বলেন, হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার নজরবন্দির কাজ ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আর ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। ১ নভেম্বর থেকে প্যানিক অ্যালার্ম চালু করা হবে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, রেফারেল সিস্টেম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, সকলের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিৎ। যদিও মুখ্যসচিবের এই মন্তব্যের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
দুই দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন অব্যাহত রয়েছে। সোমবার আরও দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্চমীতে জুনিয়র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে জোড়া কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ১২ ঘণ্টার প্রতীকি অনশন করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ পঞ্চমীতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসক, সিনিয়র চিকিৎসক ও স্বা্থ্যকর্মীদের তরফে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১০ দফা দাবি নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া তনয়া পাঁজা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় ও স্নিগ্ধা হাজরা অনশন করছেন। এসএসকেএমের ডাক্তারি পড়ুয়া অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও এনআরএসের পড়ুয়া পুলস্ত্য আচার্যও অনশনে রয়েছে। রবিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। সোমবার বিকেলে আরও দুই জন জুনিয়র চিকিৎস অবস্থানে বসেছেন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us